সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রাঙ্গা’র স্ত্রী’র সংবাদ সম্মেলন

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরে মিথ্যা ষড়ন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার এনায়েত করিম রাঙ্গার মুক্তির দাবীতে স্ত্রী উম্মে সালমা (পাপিয়া) সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।   জুলাই- আগষ্ট বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সত্বেও শুধুমাত্র আপন ভাতিজার করা প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্রের মামলায় ফেঁসে গেলেন চাচা এনায়েত করিম রাঙ্গা। বর্তমানে রাঙ্গা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলের খাঁচায় বন্দি। গত ২৮ ডিসেম্বর শনিবার নাটোরের সিংড়া থানা […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৮

নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরে মিথ্যা ষড়ন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার এনায়েত করিম রাঙ্গার মুক্তির দাবীতে স্ত্রী উম্মে সালমা (পাপিয়া) সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।  

জুলাই- আগষ্ট বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সত্বেও শুধুমাত্র আপন ভাতিজার করা প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্রের মামলায় ফেঁসে গেলেন চাচা এনায়েত করিম রাঙ্গা। বর্তমানে রাঙ্গা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলের খাঁচায় বন্দি।

গত ২৮ ডিসেম্বর শনিবার নাটোরের সিংড়া থানা পুলিশ তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে।

এনায়েত করিম রাঙ্গা জুলাই-আগষ্টের পুরোটা সময় জুড়ে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং এই আন্দোলনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নিয়মিত কাজ করছেন। অথচ তার ভাতিজা ফয়সাল আহম্মেদ পারিবারিক কলহের জেরে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের মামলায় চাচাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান রাঙ্গার স্ত্রী উম্মে সালমা (পাপিয়া)। এই এনায়েত করিম রাঙ্গা একসময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর ছাত্রনেতা ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে বিগত ১৫ বছর নানাভাবে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন।

সোমবার ৩০ ডিসেম্বর নাটোরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গার স্ত্রী দাবি করেন – তার স্বামী জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওষুধ,পানি, স্যালাইন এবং খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। অথচ তারই নামে ছাত্র হত্যার মিথ্যা মামলা দেয়া হলো।

উম্মে সালমা পাপিয়া বলেন, তার স্বামী রাঙ্গা ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই তার ভাই আবু জাহেল তার অভিভাবক হিসাবে দেখাশোনা করতেন। এনায়েত করিম রাঙ্গার বাবার দুই পরিবার ছিল। অর্থাৎ সৎ মায়ের ঘরের আরো সন্তান আছে। বছর খানেক আগে ২০২৩ সালে রাঙ্গার বড়ভাই আবু জাহেল জমিসংক্রান্ত বিষয়ে সৎ ভাই তৈয়ব আলী কে গুলি করে মারতে গেলে এনায়েত করিম বাঁধা দেন। সেই থেকে দুই ভাইয়ের মধ্যে দন্দ চলছিল। সৎ ভাই তৈয়ব আলীকে গুলি চালানোর ঘটনায় মামলা করলে আবু জাহেল গ্রেফতার হয়ে ২১ দিন কারা ভোগ করেন । পরে জামিনে বেরিয়ে এলে তাদের দ্বন্দ তীব্র আকার ধারন করে। আবু জাহেদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ বাবাকে জেল খাটানোর পেছনে এনায়েত করিম রাঙ্গার হাত আছে সন্দেহ করে এবং সেই থেকে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকেন। আবু জাহেল সিংড়া থানার ৪ং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।

ফয়সাল আহম্মেদ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগ প্রতিনিধি ছিলেন বলে জানান তার চাচি পাপিয়া। জুলাই আগস্টের বিপ্লবে ছাত্রদের দমন করতে তার ভূমিকা ছিল। সে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর জুনায়েদ আহম্মেদ পলক এর ঘনিষ্ঠ ভাজনও ছিলেন। এবং পলকের যাবতীয় কাজ দেখাশোনা করতেন। ছোটখাট যেকোন বিষয়ে সে মামলাবাজ হিসাবেও পরিচিত। এই ফয়সাল আহম্মেদ এর অত্যাচারে এলাকা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

প্রতিশোধের নেশায় ফয়সাল ১৩ আগষ্ট ঢাকায় পারিবারিক ভাবে তার বাবা আবু জাহেলের নামে মামলা ৭ দিনের মধ্যে তুলে নেওয়ার হুমকী দেয় রাঙ্গা ও তার পরিবারকে। কিন্তু এনায়েত করিম রাঙ্গা’র ভাষ্য ছিল মামলার বাদী তো আমি না। এতে ফয়সাল আহম্মেদ তাদেরকে ঢাকা থেকে তারিয়ে দিবে বলে হুশিয়ারী দেয়। এবং ১৩ আগষ্ট ঢাকার কলাবাগান থানায় এনায়েত করিম রাঙ্গার নামে একটি মিথ্যা মামলা করেন ফয়সাল আহম্মেদ। এরপর ১৮ আগষ্ট ফয়সাল আহম্মেদ তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র বন কে সাথে নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার সময় এনায়েত করিম রাঙ্গার হাতিরপুল এলাকার বাসার সমানে দোকানে দোকানে রাঙ্গার ছবি দেখিয়ে ডিবি পরিচয়ে তাকে খুজতে থাকে এবং রাঙ্গা একজন সন্ত্রাসী তার নামে গণহত্যার মামলা করা হবে সে কোন বাসায় থাকে চিনিয়ে দিতে বলেন ফয়সাল আহম্মেদ। এর কিছুদিন পর অক্টোবর মাসে এনায়েত করিম রাঙ্গার গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়ায় পুলিশ যায। ঢাকার সূত্রাপুর থানার একটি হত্যা মামলার তদন্তে। সেই মামলার ১নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২য় ওবায়দুল কাদের, ৩য় জাহাঙ্গীর কবির নানক পর্যায়ক্রমে ৫০ নং এনায়েত করিম রাঙ্গা। এভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলায় হতবিম্ব হয়ে পড়েন রাঙ্গা র পরিবার। পুলিশি পরামর্শে আশ্বস্ত হন কোন মিথ্যা মামলা হলে তা তদন্ত করে সুরাহা করা হবে। কিন্তু এর কয়েকদিন পার না হতেই হঠাৎ আবার ডিসেম্বর ১৮ তারিখে ঢাকার বনানী থানায় আরেকটি হত্যা মামলায় আসামী করা হয় এনায়েত করিম রাঙ্গা কে।

এরই মধ্যে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে এনায়েত করিম রাঙ্গা তার নিজ গ্রাম নাটোরের সিংড়ায় আসেন এবং গত ২৮ ডিসেম্বর শনিবার রাতে সিংড়া থানার পুলিশ এনায়েত করিম রাঙ্গা কে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে।

এই মিথ্যা মামলায় এনায়েত করিম রাঙ্গা কে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে তার স্ত্রী উম্মে সালমা (পাপিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি করেন, তার স্বামী কখনোই আওয়ামিলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত না এবং কোন হত্যার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগীরা ভূমিকায় সক্রিয় ছিলেন। এবং আমি ও আমার ছোট মাসুম সন্তানও ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাঠে থাকা একজন প্রতিবাদী নারী যোদ্ধা ছিলাম।

ফয়সাল আহম্মেদ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হয়েও শুধুমাত্র পারিবারিক দ্বন্দের প্রতিশোধ নিতে নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার সুবাদে তার সাথে সমন্বয়ক সার্ভিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্পর্ক আছে নাম ভাঙ্গিয়ে নিরীহ মানুষ কে হয়রানী ও হুমকী ধামকী দিয়ে বেড়াচ্ছে। এবং মিথ্যা মামলাবাজী করছে।

উম্মে সালমা (পাপিয়া) এই মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সহ সমন্বয়ক সার্ভিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ মহোদয়ের সুচিন্তিত সহযোগিতা কামনা করেছেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

সারাদেশ

মির্জাগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে মাদক ব্যবসায়ী সহ গ্রেফতার ৫ জন

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৩

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত লোটাস উপজেলা সদরস্থ দেউলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র। 

এছাড়াও অল্প সময়ের ব্যবধানে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নিজাম হাওলাদার (৪৯) ও তাঁর সঙ্গী রুবেলকে (৪০) মির্জাগঞ্জ ব্রীজের উপর থেকে ৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্ধ করা হয়।

আটককৃত নিজাম হাওলাদার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের পুত্র ও রুবেল পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সামসু হাওলাদারের পুত্র। আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে একই উপজেলার মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের করিম মৃধার পূত্র মিরাজ মৃধা (২৫)-কে ১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

মিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং তিনি আন্ত:জেলা মাদক কারবারের সাথে জড়িত।  

অন্যদিকে উপজেলা সদরস্থ দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের কাঞ্চু কবিরাজের পুত্র নুরুল হক নামে এক ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামিকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাওলাদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

সারাদেশ

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে […]

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

ছবি : সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে বেশ অনেকদিন ধরে নিজের কন্যাশিশুটির সঙ্গে অনৈতিকভাবে মেলামেশার চেষ্টা করে আসছিলেন বাবা প্রদীপ বণিক।

এর আগে যতোবারই এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, শিশুটি তার মা বাসায় ফেরার পর বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কান্নাকাটিও করতো। কিন্তু মায়ের কাছেও পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হতো।

কয়েকদিন আগেও শিশুটিকে যখন বাবা প্রদীপ বণিক ধর্ষণ করে, তখন মেয়েটি সারাক্ষণই কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাকে সবকিছু খুলে বলে। তখন মা তাকে একটি মোবাইল হাতে দিয়ে বলেন, যখনই বাবা ওরকম কিছু করার চেষ্টা করবে, তখন মোবাইলে ভিডিও করে রাখবে।

রোববার বেলা তিনটার দিকে প্রদীপ বণিক রোজকারমতো মেয়েকে বিছানায় টানার চেষ্টা করলে সে কৌশলে মোবাইলের ভিডিও সচল করে দেয়। গার্মেন্টসের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর সেই ভিডিও দেখে মা ও মেয়ে দুজনেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় আশেপাশে তাদের কয়েকজন নিকটাত্মীয়ও সেখানে আসেন।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনা জানানো হলে পুলিশ এসে প্রদীপ বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়

সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার বাদি হয়েছেন শিশুটির মা নিজে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, “এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন মেয়েটির মা নিজেই। পুলিশ এখন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।”

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

সারাদেশ

এসএসসি পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হবে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। প্রথম প্রকাশিত […]

নিউজ ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:৫৩

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম প্রকাশিত এবং সংশোধিত সূচি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরুর এ সূচি একই রয়েছে।

প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। এ পরীক্ষাটি ১৩ এপ্রিল হবে না। বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষাটি হবে ১৩ মে। অর্থাৎ তত্ত্বীয় পরীক্ষার সবশেষ দিন।

বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এ পরিবর্তন ছাড়া সংশোধিত রুটিনের সঙ্গে প্রথম প্রকাশিত রুটিনের সব তারিখ ও সময়ের মিল রয়েছে।

আগের মতোই তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১০ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ১৮ মের মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯