মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না – আল্লামা মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, কেউ যদি মনে করে ভারতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নরেন্দ্র মোদীদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থের রুটম্যাপ বাস্তবায়ন করবে, তাহলে তাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭১ সালে যাদের নেতৃত্ত্বে ও রক্তের বিনিময়ে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরও কিন্তু এ দেশে ঠাঁই হয় নাই। […]

নিউজ ডেস্ক

২১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০০

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, কেউ যদি মনে করে ভারতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নরেন্দ্র মোদীদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থের রুটম্যাপ বাস্তবায়ন করবে, তাহলে তাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭১ সালে যাদের নেতৃত্ত্বে ও রক্তের বিনিময়ে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরও কিন্তু এ দেশে ঠাঁই হয় নাই।

২০২৪ সালে নব্য ফ্যাসিবাদের জায়গা এ বাংলাদেশে হয় নাই। ভবিষ্যতেও যদি কেউ এদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়, তাহলে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্র সমাজ সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে যে বাংলাদেশের মানুষ আর কোন দিন এ দেশে ফ্যাসিবাদ আসতে দেবে না।

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর ঈদগাঁহ মাঠে খেলাফত মসলিস সোনারগাঁ শাখার আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের রূহের মাহফিরাত কামনা ও প্রতিবাদ সভায় তিনি এ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাস করতে হলে, রাজনীতি করতে হলে এ দেশের মানুষের পালস্ বুঝতে হবে, আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে কিন্তু চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকা যাবেনা।

শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদী আশ্রয় দিয়েছেন আমাদের আপত্তি নাই। এটা ভারতের আভ্যন্তরিন ব্যাপার।প্রয়োজনে শেখ হাসিনাসহ তার পুরো পরিবার ভারতে নির্বাসিত হোক আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু দিল্লীতে বসে বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করলে এদেশের আটারো কোটি মানুষ যুদ্ধের ময়দানে নামবেন।

তিনি আরও বলেন, যাদের অত্যাচার অবিচার মাত্রাতিরিক্ত ছিল তাদের বিষয়ে মহানবী ঘোষণা করেছিল তাদের কোন ক্ষমা নাই। সোনারগাঁয়ের শত শত মানুষের নিপীড়নের জন্যে ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। সোনারগাঁয়ে অপকর্মেও জন্য চিহিৃত কিছু মানুষ দায়ী দাবী করে মামুনুল হক বলেন, সে সকল চিহিৃতদের সোনারগাঁয়ে চিরদিনের জন্যে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।

বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জালিম সরকার আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ওই জালিম সরকার ১৬টি বছর দেশের মানুষকে সবদিক দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অনেকে ধারণাই করিছিল এ জালিম সরকারকে হঠানোর মতো, অপসারণের মতো কোন শক্তি নেই। তিনি বলেন, ওই জালিম সরকারের লক্ষ্য ছিল, হাজার-লাখ মানুষকেও যদি হত্যা করতে হয়, তারা করবে।

তারপরও তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। কিন্তু যখন তাদের পাপের বোঝা পরিপূর্ণ হয়েছে তখন ঠিকই আল্লাহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ আর বিশ^বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের দিয়ে তাদের অপসারণ করিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ পূণরায় যে স্বাধীন হয়েছে সে স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা নব্য আত্মবিশ^াসীদের স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা জিম্মিকারীদের নীল নকশা ভন্ডুল করার স্বাধীনতা।

মামুনুল হক বলেন, এ স্বাধীনতার পিছনে অনেক সংগ্রামী ইতিহাস রয়েছে। অনেক মা-বোনের চোখের অশ্রু রয়েছে। রয়েছে অনেক ভাইয়ের রক্ত। যে সকল শহীদরা এ সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদের অবশ্যই জাতি সারা জীবন মনে রাখবে বলে তিনি আশা করেন।

মানুষ তাদের অনেক কর্মফল পৃথিবীতেই পেয়ে যাবেন যা হাদিসে আছে জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের কর্মফল দেশের মানুষ দেখেছে, পুরো পৃথিবী দেখেছে। তাদের কর্মদোষে শেখ মুজিবর রহমানের মুর্তি ভেঙ্গে তার ওপর প্রম্রাব করেছে নির্যাতিত মানুষ।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণের যে টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার কিনেছিলেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সেই হেলিকপ্টার দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে পাখির মতো মানুষ মেরেছেন।

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সভায় উপস্থিত হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সভায় খেলাফত মজলিস সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খান, সংগঠনটির সোনারগাঁ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।

সারাদেশ

পূজা মন্ডপের পাশে মুসলিম শিশু ধ/র্ষ/ণ, পূজামণ্ডপের সহসভাপতি ভজেন্দ্র সরকার গ্রেফতার

পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে

নিউজ ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩২

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের পাশে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ভজেন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হওয়া ভজেন্দ্র সরকার (৫৫) আশ্রয়ণ প্রকল্প পূজামণ্ডপের সহসভাপতি এবং মেঘলাল সরকারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ভজেন্দ্র সরকারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন অপরাধে জড়ান, তবে তা সমাজে গভীর ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সারাদেশ

মামুনের খুলি ফ্রিজে, মাথার ব্যান্ডেজ লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ। সেখানে লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। তার মাথার কিছু অংশে খুলি না থাকায় সতর্কতার স্বার্থে এটি লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলি লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া তার নাকে ও মুখে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি কানের পর্দা ফেটে গেছে।

মামুনের বন্ধু রাসেল রানা বলেন, ওর অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কেবিনে শিফট করা হয়েছে। ইশারার মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওর মাথার হাড় ভেঙে ভেতরে টুকরা টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এজন্য মাথার পেছনে ব্রেইনের অংশে অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলি পুনরায় লাগাতে ডাক্তার সাধারণত দুই মাস সময় চেয়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে এক মাসের মধ্যে লাগানো যাবে। যদি অবনতি হয় তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মামুনের অপারেশন করা হয়। অপারেশনে মামুনের মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জিয়াউদ্দিন বলেন, মামুন মোটামুটি ভালো আছে। তার সেন্সও ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে। সায়েমের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনকই বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে, অথবা নরমাল চিকিৎসা যেভাবে চলছে, এভাবে চালিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।