শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না – আল্লামা মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, কেউ যদি মনে করে ভারতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নরেন্দ্র মোদীদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থের রুটম্যাপ বাস্তবায়ন করবে, তাহলে তাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭১ সালে যাদের নেতৃত্ত্বে ও রক্তের বিনিময়ে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরও কিন্তু এ দেশে ঠাঁই হয় নাই। […]

নিউজ ডেস্ক

২১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০০

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, কেউ যদি মনে করে ভারতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নরেন্দ্র মোদীদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থের রুটম্যাপ বাস্তবায়ন করবে, তাহলে তাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭১ সালে যাদের নেতৃত্ত্বে ও রক্তের বিনিময়ে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরও কিন্তু এ দেশে ঠাঁই হয় নাই।

২০২৪ সালে নব্য ফ্যাসিবাদের জায়গা এ বাংলাদেশে হয় নাই। ভবিষ্যতেও যদি কেউ এদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়, তাহলে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্র সমাজ সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে যে বাংলাদেশের মানুষ আর কোন দিন এ দেশে ফ্যাসিবাদ আসতে দেবে না।

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর ঈদগাঁহ মাঠে খেলাফত মসলিস সোনারগাঁ শাখার আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের রূহের মাহফিরাত কামনা ও প্রতিবাদ সভায় তিনি এ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাস করতে হলে, রাজনীতি করতে হলে এ দেশের মানুষের পালস্ বুঝতে হবে, আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে কিন্তু চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকা যাবেনা।

শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদী আশ্রয় দিয়েছেন আমাদের আপত্তি নাই। এটা ভারতের আভ্যন্তরিন ব্যাপার।প্রয়োজনে শেখ হাসিনাসহ তার পুরো পরিবার ভারতে নির্বাসিত হোক আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু দিল্লীতে বসে বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করলে এদেশের আটারো কোটি মানুষ যুদ্ধের ময়দানে নামবেন।

তিনি আরও বলেন, যাদের অত্যাচার অবিচার মাত্রাতিরিক্ত ছিল তাদের বিষয়ে মহানবী ঘোষণা করেছিল তাদের কোন ক্ষমা নাই। সোনারগাঁয়ের শত শত মানুষের নিপীড়নের জন্যে ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে। সোনারগাঁয়ে অপকর্মেও জন্য চিহিৃত কিছু মানুষ দায়ী দাবী করে মামুনুল হক বলেন, সে সকল চিহিৃতদের সোনারগাঁয়ে চিরদিনের জন্যে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।

বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জালিম সরকার আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ওই জালিম সরকার ১৬টি বছর দেশের মানুষকে সবদিক দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অনেকে ধারণাই করিছিল এ জালিম সরকারকে হঠানোর মতো, অপসারণের মতো কোন শক্তি নেই। তিনি বলেন, ওই জালিম সরকারের লক্ষ্য ছিল, হাজার-লাখ মানুষকেও যদি হত্যা করতে হয়, তারা করবে।

তারপরও তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। কিন্তু যখন তাদের পাপের বোঝা পরিপূর্ণ হয়েছে তখন ঠিকই আল্লাহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ আর বিশ^বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের দিয়ে তাদের অপসারণ করিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ পূণরায় যে স্বাধীন হয়েছে সে স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা নব্য আত্মবিশ^াসীদের স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা জিম্মিকারীদের নীল নকশা ভন্ডুল করার স্বাধীনতা।

মামুনুল হক বলেন, এ স্বাধীনতার পিছনে অনেক সংগ্রামী ইতিহাস রয়েছে। অনেক মা-বোনের চোখের অশ্রু রয়েছে। রয়েছে অনেক ভাইয়ের রক্ত। যে সকল শহীদরা এ সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদের অবশ্যই জাতি সারা জীবন মনে রাখবে বলে তিনি আশা করেন।

মানুষ তাদের অনেক কর্মফল পৃথিবীতেই পেয়ে যাবেন যা হাদিসে আছে জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের কর্মফল দেশের মানুষ দেখেছে, পুরো পৃথিবী দেখেছে। তাদের কর্মদোষে শেখ মুজিবর রহমানের মুর্তি ভেঙ্গে তার ওপর প্রম্রাব করেছে নির্যাতিত মানুষ।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণের যে টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার কিনেছিলেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সেই হেলিকপ্টার দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে পাখির মতো মানুষ মেরেছেন।

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সভায় উপস্থিত হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সভায় খেলাফত মজলিস সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খান, সংগঠনটির সোনারগাঁ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।