আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি):
গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মানিকপুর এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ ভিক্ষুক আয়েশা বেগমের পাশে দাড়িঁয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার মানিকপুর এলাকায় ভিক্ষুক আয়েশা বেগমের বাড়িতে গিয়ে এক মাসের বাজার ও নগদ অর্থ তুলে দেন শিক্ষার্থী বুলবুল আহাম্মেদ রাজ, মেহেদী, জিহাদ ও সিয়াম। এমন সহযোগিতা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আয়েশা বেগম। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত; গত ৪ আগষ্ট মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ভিক্ষুক আয়েশা বেগম। প্রথমে পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আচ করতে না পারলেও ৩ মাস পর এক্সরে পরীক্ষায় বাম পায়ে গুলি চিহ্নিত হয়। তবে অসহায় এই নারীর গুলি বের করতে সহযোগিতার আকুতি জানালেও এগিয়ে আসেনি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। পরবর্তীতে জেলা শহরের মানিকপুর এলাকার সিটি হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক এম এ মালেক মুরাদ ২৩ নভেম্বর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদ্ধ হওয়া গুলিটি বের করে দেন।
আয়েশা বেগমের স্বামী ও সন্তান কেউ-ই নেই। বাড়ি চাঁদপুরে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী লতিফ সরদারের মৃত্যুর পর প্রায় এক যুগ আগে মুন্সীগঞ্জ শহরে চলে আসেন তিনি। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। স্বামী-সন্তান ছাড়া বয়সের ভারে ন্যুব্জ আয়েশা বেগমের উপার্জনের একমাত্র ক্ষেত্র ভিক্ষাবৃত্তি।