সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
২৮ পৌষ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩২

তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের

মেহেদী হাসান মেহের বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

এদিকে পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বৃহষ্পতিবার ইজতেমা মাঠের বিভিন্নস্থানে কিছু মুসল্লি অবস্থান করছেন। তাদের দাবি, কাঁথা বালিশসহ বিভিন্ন মালামাল পাহারা দিতে মাঠে রয়েছেন তারা।

এছাড়া ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তবে মাঠের ভেতর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)  দুপুরে সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন ষ্টেশন রোডের মোড়, মুন্নু গেইট-  কামারপাড়া সড়ক, ইজতেমা মাঠে প্রবেশের গেইটসহ আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছেন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এসময় কিছু মুসুল্লীকেও বাঁশ হাতে নিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের বিভিন্ন গেইটে পাহারা দিতে দেখা গেছে।

মাঠে থাকা মুসল্লি খায়রুল বাশারসহ কয়েকজন জানান, মাঠে অবস্থানকারীরা সবাই মাওলানা জুবায়ের অনুসারী। মাওলানা সাদ অনুসারীরা মাঠ খালি করে দেওয়ার পর বুধবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় তারা ইজতেমা মাঠে এসেছেন।

এসব মুসুল্লীসহ আমরা ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে মুরুব্বীদের নির্দেশনা অনুযায়ী ইজতেমা ময়দানের যাবতীয় মালামাল পাহারা দিতে বিভিন্ন জামাতভুক্ত প্রায় ৫’শ সাথী মাঠে এসেছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের সভা শেষে মাঠে থাকা মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য জুবায়ের অনুসারীদের ৫শ’ লোক থাকার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা মাঠে অবস্থান করছেন।

তবে পুলিশের নির্দেশনা কার্যকর রয়েছে। মাঠ ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে বুধবার দুপুরে ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সাদ অনুসারীরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করেন।

এ সম্পর্কিত আরো খবর