খাদিজা আক্তার; (বান্দরবান প্রতিনিধি):
বান্দরবান জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিপিপিএ’র কার্যাবলী এবং ই-জিপি সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ ডিসেম্বর) বান্দরবান জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টায় জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান, (সিইও), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিপিপিএ, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে এই কর্মশালা প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন, সচিব, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষন ও মূল্যায়ন বিভাগ ( আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
কর্মশালায় বিপিপি’র কার্যাবলী এবং ই-জিপির সচেতনতা বিষয় বিশদ আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, ঠিকাদার এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ আলোচনা করেন। প্রিভিও ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক নোমান চৌধুরী বলেন, সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য একটি সিস্টেম। তবে এতে আরো বেশ কিছু সিস্টেম যুক্ত এবং সংশোধন করা প্রয়োজন।
এতে করে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেতে এবং সরকারি ক্রয়ে স্বচ্চতা আনায়ন সম্ভব। যদিও ওটিএম পদ্ধতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত তবে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান কাজ পেতে, প্রতিযোগিতা বাড়াতে এলটিএম পদ্ধতি অবলম্বনের উপর জোর দেন। অন্যথায় একচেটিয়া বা কিছু ব্যক্তির কাছে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা আটকে থাকবে, এতে সরকার রাজস্ব হারাতে পারে অথবা কাজের স্বচ্চতা কমতে পারে উল্লেখ করেন।
সাংবাদিক এইচ এম সম্রাট বলেন যদি এলটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার না হয় তাহলে নতুন লাইসেন্সধারীরা ওটিএম পদ্ধতিতে বেধে দেয়া নিয়মে কাজের অভিজ্ঞতা পাবে কোথা হতে? মূল বরাদ্ধের অন্তত ৫০% এলটিএম পদ্ধতিতে রাখা উচিত। অন্যথায় ২/৪ টা লাইসেন্স বা ব্যক্তির নিকট উন্নয়ন কাজ পরিচালনাকারী সকল প্রতিষ্ঠান আটকে থাকবে। এটিও বৈষম্য। যা দূর করা জরুরী।
প্রধান অতিথি সকলের বক্তব্য নোট করে সমাধানের জন্যে আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন ই-জিপিতে জনবল সংকট রয়েছে। অচিরেই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। ইতোপূর্বে টেন্ডার নিয়ে যে পরিমান ঝামেলা হতো বর্তমান সিস্টেমে তা নেই বললেই চলে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন। কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলী, ঠিকাদার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।