ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো নয়, বরং সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতার, প্রতিবেশীসুলভ আচরণ হওয়া উচিত। প্রতিবেশী যেমনই হোক না কেন তার সাথে সম্পর্কও প্রতিবেশী সূচকে হতে হবে। এই বিষয়টি যদি বিজেপি সরকার বারবার এড়িয়ে যায় তাহলে মনে হয়, ভারতেরও মানুষের সময় এসেছে নতুন করে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার।
তাদেরও এখন নিজেদের সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধায় চুয়াডাঙ্গায় বিজয় মেলায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
এবারের বিজয় উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,১৯৭১-কে স্বীকার করলে ২০২৪-কে স্বীকার করা যাবে না বিষয়টি এমন নয়। ৭১-এ যেটি শুরু হয়েছিল ২৪ সেটিরই একটি সিলসিলা (ধারাবাহিকতা)। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী করণের কালো ছায়ায় আবদ্ধ ছিল।
সে ছায়া কেটে যাওয়ার পর মানুষ বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারছে। এর আগে বিজয় দিবস মানেই ছিল সকাল থেকে একই ধরনের গান বাজছে, মোটরসাইকেলের শো ডাউন চলছে আর দলীয় লোকজনের মধ্যে খিচুড়ি বিতরণ হচ্ছে। সেখানে সাধারন মানুষের অংশগ্রহন ছিল না। জুলাই অভ্যুথানের পর বর্তমান প্রজন্ম বিজয়ের আনন্দ বুঝতে পারছে। নতুন করে বিজয় বা স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানের খুব দরকার ছিল।
দেশে নির্বাচনের বিষয়ে সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে নির্বাচন তো হওয়ায় উচিত। তবে তার আগে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর একমতে এসে সংস্কার শেষ করে তারপর নির্বাচন হওয়া উচিত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি আসলাম অর্ক, সাধারন সম্পাদক সাফফাতুল ইসলাম, মূখ্য সংগঠক সজিবুল ইসলামসহ কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার নেতৃবৃন্দ।