শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

গণকবরে শায়িত শহীদ ও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ

 ছাইদুল ইসলাম, (নওগাঁ) প্রতিনিধি নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলার উমার ইউনিয়নের কুলফৎপুর এলাকার গণকবরে পাক-হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার বর্ণনা করেন ওই দিন  প্রাণে রক্ষা পাওয়া আব্দুল মান্নান।আক্ষেপ করেন শহীদি মর্যাদা না পাওয়ার। নওগাঁর ধামইরহাটে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পিস কমিটির সদস্য ওসমান হাজীর নির্দেশে ১৪ জন গেরস্ত ও শ্রমিক গণহত্যার স্বীকার হন। পাকিস্তানি হানাদার […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১২

 ছাইদুল ইসলাম, (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলার উমার ইউনিয়নের কুলফৎপুর এলাকার গণকবরে পাক-হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার বর্ণনা করেন ওই দিন  প্রাণে রক্ষা পাওয়া আব্দুল মান্নান।আক্ষেপ করেন শহীদি মর্যাদা না পাওয়ার।
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পিস কমিটির সদস্য ওসমান হাজীর নির্দেশে ১৪ জন গেরস্ত ও শ্রমিক গণহত্যার স্বীকার হন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে সহযোগিতা করার অপরাধে শ্রাবন মাসের ৬ তারিখ দুপুর একটায় ২০ জন মুক্তিকামী জনতাকে কুলফৎপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন শহীদ হন এবং ৬ জন ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। এদের মধ্যে অনেকেই মাঠে হাল চাষের সময় ও নিজ বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় পাক-হানাদার বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হয়।
শনিবার   (১৪ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায়  বাকরুদ্ধ কণ্ঠে এমনই নৃশংস গণহত্যার বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন ঐ দিন বড় ভাইয়ের সঙ্গে তাকেও পাক-হানাদার বাহিনীর সদস্যরা দুই হাত ও চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যায়।  বুলেটের আঘাতে বড় ভাই মতিবুল শহীদ হন আর ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। সেদিনের পর থেকেই  তিনি অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
স্বাধীনতার কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও শহীদ পরিবারদের স্বীকৃতি না পাওয়া এবং ভাই হারানো কষ্টের সেই ক্ষত আজও বহন করে চলেছেন আব্দুল মান্নান ও তার পরিবার।
তিনি বলেন, পাক-হানাদার বাহিনীর সদস্যরা গুলি করার সময় তিনিসহ আরও ৬ জন জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে ১৪ জন শহীদ হন এবং বাকিদের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা তার জন্য পাক-বাহিনীর সদস্যরা রাইফেলের বাঁট ও পা দিয়ে খুঁচে সকলের শরীরে আঘাত করেন। এসময় বাকি সদস্যরা মৃত্যুর ভয়ে পাক সেনাদের কাছে প্রাণভিক্ষা চান। এরপর পাক বাহিনী ওই ৬ জনকে রশি দিয়ে বেঁধে পার্শ্ববর্তী ফার্সিপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে যান।
ওদের মধ্যে আব্দুল মান্নানের নামের সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর কমান্ডারের নামের মিল থাকায় ওইযাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও ওইদিন বাকিদের ভাগ্যে কি ঘটেছিল তা আজও তার কাছে অজানা রয়ে গেছে।
গণহত্যার শিকার অন্য বীর শহীদেরা হলেন- উপজেলার উমার ইউনিয়নের কুলফৎপুর এলাকার মৃত বজির উদ্দীনের ছেলে শহীদ আমজাদ হোসেন, মৃত কফিল উদ্দিন মন্ডলের ছেলে শহীদ চান মদ্দীন মন্ডল, মৃত ইছরত আলী দেওয়ানের ছেলে শহীদ কছি মদ্দীন মন্ডল, সুবার উদ্দীন মন্ডলের ছেলে শহীদ ছয়েফ উদ্দীন, আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে শহীদ আবতাব উদ্দীন, মৃত আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে শহীদ তায়েজ উদ্দীন, মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে শহীদ মতিবুল হোসেন, টুটি কাটা এলাকার মৃত ছবির উদ্দীনের ছেলে শহীদ আব্বাছ আলী, মৃত শরিফ উদ্দীনের ছেলে শহীদ আাবেদ আলী।
এছাড়াও কৈগ্রাম এলাকার মৃত ছালে মদ্দীনের ছেলে শহীদ রহিম উদ্দীন, মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে ফয়জুল ইসলাম, মৃত কিমির উদ্দীন মন্ডলের ছেলে শহীদ তজির উদ্দীন মন্ডল, মৃত সহিদ তজীর উদ্দীন মন্ডলের ছেলে শহীদ তমিজ উদ্দিন (বিজু), এবং দাড়াবাতা এলাকার মৃত রহিম উদ্দীনের ছেলে শহীদ অবির উদ্দীন।
সরোজমিনে উপজেলার উমার ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড কুলফৎপুর এলাকার গিয়ে দেখা যায় গণহত্যার শিকার ১৪ জন শহীদদের নাম লিপিবদ্ধ করে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারির অভাবে গণ কবরের চারপাশ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় সেখানে গরু, ছাগল ও ভেড়ার  বিচরণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। একারণে শহীদ পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে একরকম চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয়রা কিছুটা কুবের শহীদ বলেন  , স্বাধীনতার কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও গণহত্যার শিকার পরিবারদের খোঁজ রাখেনি কেউ। বছরের পর বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিলেও সংরক্ষণ করা হয়নি গণ কবরের চারপাশ। সরকারিভাবে শহীদ পরিবারদের স্বীকৃতিও মেলেনি তাদের। পাননি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ কোন অনুদান। এমন বীভৎস স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে মানাবেতর জীবন যাপন করছেন শহীদ পরিবারের অনেক সদস্যরা।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া আব্দুল মান্নানের স্ত্রী আনজুয়ারা ও শহীদ পরিবারের অন্যান্য  সদস্যরা আক্ষেপ করে বলেন, ‘পাক-হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মাঠ থেকে গ্রামের গেরস্থদের (কৃষকদের) ধরে এনে হত্যা করেন। এদের মধ্যে কেউ বুদ্ধিজীবী ছিলেন না। অথচ গণকবরটিকে ঘিরে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সেখানে বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হয়। এমন অবস্থায় গণহত্যার স্বীকার বীর শহীদদের প্রতি অসম্মান ও ইতিহাস বিকৃতের গুরুতর অভিযোগ এনে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।’
০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

সারাদেশ

মির্জাগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে মাদক ব্যবসায়ী সহ গ্রেফতার ৫ জন

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৩

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত লোটাস উপজেলা সদরস্থ দেউলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র। 

এছাড়াও অল্প সময়ের ব্যবধানে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নিজাম হাওলাদার (৪৯) ও তাঁর সঙ্গী রুবেলকে (৪০) মির্জাগঞ্জ ব্রীজের উপর থেকে ৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্ধ করা হয়।

আটককৃত নিজাম হাওলাদার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের পুত্র ও রুবেল পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সামসু হাওলাদারের পুত্র। আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে একই উপজেলার মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের করিম মৃধার পূত্র মিরাজ মৃধা (২৫)-কে ১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

মিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং তিনি আন্ত:জেলা মাদক কারবারের সাথে জড়িত।  

অন্যদিকে উপজেলা সদরস্থ দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের কাঞ্চু কবিরাজের পুত্র নুরুল হক নামে এক ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামিকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাওলাদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

সারাদেশ

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে […]

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

ছবি : সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে বেশ অনেকদিন ধরে নিজের কন্যাশিশুটির সঙ্গে অনৈতিকভাবে মেলামেশার চেষ্টা করে আসছিলেন বাবা প্রদীপ বণিক।

এর আগে যতোবারই এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, শিশুটি তার মা বাসায় ফেরার পর বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কান্নাকাটিও করতো। কিন্তু মায়ের কাছেও পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হতো।

কয়েকদিন আগেও শিশুটিকে যখন বাবা প্রদীপ বণিক ধর্ষণ করে, তখন মেয়েটি সারাক্ষণই কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাকে সবকিছু খুলে বলে। তখন মা তাকে একটি মোবাইল হাতে দিয়ে বলেন, যখনই বাবা ওরকম কিছু করার চেষ্টা করবে, তখন মোবাইলে ভিডিও করে রাখবে।

রোববার বেলা তিনটার দিকে প্রদীপ বণিক রোজকারমতো মেয়েকে বিছানায় টানার চেষ্টা করলে সে কৌশলে মোবাইলের ভিডিও সচল করে দেয়। গার্মেন্টসের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর সেই ভিডিও দেখে মা ও মেয়ে দুজনেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় আশেপাশে তাদের কয়েকজন নিকটাত্মীয়ও সেখানে আসেন।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনা জানানো হলে পুলিশ এসে প্রদীপ বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়

সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার বাদি হয়েছেন শিশুটির মা নিজে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, “এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন মেয়েটির মা নিজেই। পুলিশ এখন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।”

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩