চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার কথা বরাবরই আলোচনা হয় শীতের দাপটের কারণে। এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা প্রতিবারই তুঙ্গে থাকে। এবারও কিন্তু শীতের জোরসোর চলছে চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমার কারণে অগ্রহায়ণ শেষ না হতেই পৌষের নামকরা শীত দখল করে নিয়েছে আগেভাগেই। যে কারণে মানুষ এই শীতের সাথে পেরে উঠতে না পারায় রাস্তা বা বাজারঘাটে লোকজনের আনাগোনা কমেছে। বেশিরভাগ মানুষই ঘরের মধ্যে দিন কিংবা রাত সবসময়ই গায়ে লেপ কম্বল জড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ভোর থেকে বেলা গড়িয়ে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের কারণে কোনো লাভ হচ্ছে না মানুষের। শীতের তীব্রতার কাছে সূর্যের তাপ যেনো গায়ে লাগছে না মানুষের। এ কারণে সারাদিন বিকেল সন্ধ্যা পর্যন্ত মোটামুটি মানুষের দেখা মিললেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর আগের তুলনায় মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না বাইরে।
এই ঠা-ায় জেলার কৃষকনির্ভর ছাড়াও খেটে খাওয়া মানুষরাই পড়েছে সবচেয়ে বিপাকে। শহরে বা গ্রামপর্যায়ের যারা দিনমজুরি রয়েছে সারাদিন সময় খুইয়ে কাজ না পেয়ে দূরদূরন্ত থেকে আসা ওদের ফিরে যেতে হচ্ছে নিজ নিজ বাড়িতে। এতে করে ওইসব শ্রেণীর পরিবারে নানা অভাব দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে শহরে চলাচলকারী রিকশাচালকরাও। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাজারঘাটে কম আসায় তাদের ভাড়াও ঠিকমত হচ্ছে না। তাই তো তাদের পরিবারে শীতের তীব্রতায় ফুটে উঠেছে অভাবের চিত্র।
রিকশাচালক রহম আলী বলেন, তীব্র শীতের কারণে বাজারে তেমন একটা মানুষ দেখা যাচ্ছে না। তাই আমাদের ভাড়াটারাও হচ্ছে না। এদিকে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তিনবেলার মধ্যে একবেলা না খেয়েই পার করতে হচ্ছে এখন। এই শীতের কষ্টের মধ্যেও খাওয়া দাওয়ার কষ্টে আরও বিভোর হয়ে পড়েছি।
সারাদিন তেমন আজ সারাদিন আরআজ সারাদিন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আকাশে কুয়াশা কেটে গেলে আগামী দু-একদিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?