কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ
মহিপুরে প্রশাসনের নির্দেশে সরিয়ে ফেলা হলো বাগানের ফুল গাছ কেটে নির্মিত দোকান ঘর
পটুয়াখালীর মহিপুরে সেতু সংলগ্ন সরকারী জমিতে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নির্মিত বাগানের ফুল ও ফল গাছ কেটে দুটি দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হারুন নিকেল ও রাছেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। ঘর নির্মাণের সময় একটি বট গাছ কেটে ফেলা হয়।
দোকান ঘর দুটি নির্মানের পর পরই স্থানীয়দের তোপের মুখে পরেন ওই দখলকারীরা। পরে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘর দুটি সরিয়ে ফেলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে মহিপুর সেতু সংলগ্ন সরকারী জমিতে বাগানটি গড়ে তোলেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাগানটি গড়ে উঠে। বিভিন্ন প্রকার ফল ও ফুল গাছ লাগানো হয় এই বাগানে। এ বাগানটির কারনে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে এই এলাকার। গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি ফুল গাছ,
কয়েকটি ফল গাছ ও একটি বট গাছ কেটে দুটি দোকান ঘর নির্মান করে হারুন নিকেল ও রাছেল হাওলাদার। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফুসে ওঠে। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নির্দেশে দোকান ঘর দুটি সরিয়ে ফেলা হয়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে।
মহিপুর এলাকার ব্যবসায়ী মিজান বলেন, এই বাগানটি করা হয়েছে বন্দরকে সৌন্দর্য করার জন্য। এটা কারো ব্যক্তিগত নয়। এটা আমাদের সকলের। গাছ কাটার অপরাধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় মুদি ব্যাবসায়ী ইব্রাহীম বলেন, এখানে একটি বটগাছ ছিলো সেটি কেটে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এতে আমরা ব্যথিত। যিনি বট গাছ কেটেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।মহিপুর ইউনিয়া যুবদল কর্মী রিপন মুসুল্লি বটগাছি কাটায় জনসম্মুখে প্রতিবাদ জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘর সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেই। উচ্ছেদের আগে দখলদাররা ঘর সরিয়ে ফেলা হয়।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?