শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

মেহেরপুর শিশু পরিবারের ভবন সংস্কার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

মজনুর রহমান আকাশ , মেহেরপুর মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) ডরমেটরি ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে অন্যের লাইসেন্সে কাজ করেছেন বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও বর্তমানে সহকারী পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সাথে […]

নিউজ ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১২

মজনুর রহমান আকাশ , মেহেরপুর
মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) ডরমেটরি ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে অন্যের লাইসেন্সে কাজ করেছেন বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও বর্তমানে সহকারী পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সাথে আতাত করে সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন তিনি। এছাড়াও গণপূর্তের উপসহকারি প্রকৌশলী ইমরান হোসেনের যোগসাজসে সংস্কার কাজের এস্টিমেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। তবে উপসহকারি প্রকৌশলী ও সমাজসেবা একে অপরের উপর দায় চাপিয়েছেন।
জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সরকারি মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) ডরমেটরি ভবন সংস্কার কাজের মুল ঠিকাদার অঞ্চল ভট্টাচার্যের লাইসেন্সে হচ্ছে। তবে সাবেক মন্ত্রীর প্রভাবে কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর মাধ্য খোকন কাজটি করেন। সংস্কার কজের মধ্যে ছিলো
জানালায় থাই গ্লাস স্থাপনসহ টয়লেট মেরামত বাবদ ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৯ টাকা, ডরমিটরি ভবনের ডাইনিং ও প্রার্থনা কক্ষ মেরামত বাবদ ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭৪ টাকা, স্টোর রুম ও রান্নাঘরের মেরামত বাবদ ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ২১৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী সরকারি মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) ডরমেটরি ভবনের জানালায় থাই গ্লাস স্থাপনসহ টয়লেট মেরামতে প্লাস্টার, হোমোজিনিয়াস ফ্লোর টাইলস
স্থাপন, ওয়াল টাইলস, ভিতরে প্লাস্টিক পেইন্ট, বাহিরে ওয়েদারকোট, ১৩টি জানালায় নতুন থাই এ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ও গ্লাস  স্থাপন, মেহগনি কাঠের নতুন ২টি দরজার চৌকাঠ ও পাল্লা, ৫টি বিব কর্ক, ২টি সাওয়ার হেড, ৮টি এক্সজস্ট ফ্যান, ৮টি টিউবলাইট। ডরমিটরি ভবনের ডাইনিং ও প্রার্থনা কক্ষে মিরর পলিশড ফ্লোর টাইলস স্থাপন, ভিতরে প্লাস্টিক পেইন্ট, বাহিরে ওয়েদারকোট, ১২টি জানালায় নতুন থাই এ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ও গ্লাস
স্থাপন, ১০টি জানালায় নতুন গ্রীল, মেহগনি কাঠের নতুন ৩টি দরজার চৌকাঠ ও পাল্লা কাজ বাবদ ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭৪ টাকা এবং ডরমিটরি ভবনের স্টোররুম ও রান্নাঘরে মিরর পলিশড ফ্লোর টাইলস, রান্নাঘরে হোমোজিনিয়াস ফ্লোর টাইলস, ওয়াল টাইলস স্থাপন, ওয়েদারকোট, ২টি জানালায় নতুন থাই এ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ও গ্লাস স্থাপন, ১৫টি জানালায় নতুন গ্রীল, মেহগনি কাঠের নতুন ২টি দরজার চৌকাঠ ও পাল্লা, ১৮-মিমি পুরু বার্মাটিক বোর্ডের কেবিনেট, ১-অশ^শক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন পাম্প মটর স্থাপন কাজ বাবদ ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ২১৩ টাকা বরাদ্দ ও মঞ্জুরী প্রদান করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, শিশু পরিবার (বালক) চার তলা বিশিষ্ট একটি ডরমেটরি ভবন। কার্যাদেশে  অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের জানালায় থাই গ্লাস স্থাপনসহ টয়লেট মেরামতের কথা উল্লেখ থাকলেও শুধুমাত্র ভবনের চারতলার টয়লেট মেরামত করা হয়েছে। টয়লেটের ভিতরে প্লাস্টিক পেইন্ট, বাহিরে ওয়েদারকোট দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ডিসটেম্পার। ১৩টি জানালার কথা উল্লেখ থাকলেও জানালা পাওয়া যায়নি তবে বারান্দায় ৮টি থাই এ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ও গ্লাস স্থাপন করা হয়েছে। মেহগনি কাঠের নতুন ২টি দরজার চৌকাঠ ও পাল্লা দেওয়ার কথা থাকলেও দরজার দেখা মেলেনি। ২টি সাওয়ারহেডের একটিও দেওয়া হয়নি। ৮টি এক্সজস্ট ফ্যান এবং ৮টি টিউবলাইটের মধ্যে দেওয়া হয়েছে ১টি ফ্যান ও ১টি লাইট।
ডরমিটরি ভবনের ডাইনিং ও প্রার্থনা কক্ষ মেরামতে মিরর পলিশড ফ্লোর টাইলস স্থাপনের জায়গায় অনিয়ম কওে দেওয়া হয়েছে হোমোজিনিয়াস। ফ্লোর না ভেঙ্গেই টাইলস বসানো হয়েছে। ভিতরে প্লাস্টিক পেইন্ট ও বাহিরে ওয়েদারকোট দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ডিসটেম্পার। ১২টি জানালায় নতুন থাই এ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ও গ্লাস স্থাপন জায়গায় ৬টিতে ফ্রেম ও গøাস স্থাপন করা হয়েছে, ১০টি জানালায় নতুন গ্রীল লাগানোর কথা থাকলেও ৬টিতে নতুন গ্রীল লাগানো হয়েছে। মেহগনি কাঠের নতুন ৩টি দরজার চৌকাঠ ও পাল্লা লাগানো হলেও দরজা ও পাল্লা মেহগনি কাঠের না বলে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
স্টোররুম ও রান্নাঘরের মেরামতে ওয়েদারকোট দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। ১৫টি জানালায় নতুন গ্রীলের কথা উল্লেখ থাকলেও সেখানে জানালা আছে ৫টি। মেহগনি কাঠের নতুন ২টি দরজার চৌকাঠ ও পাল্লা দেওয়ার কথা থাকলেও ১টি দেওয়া হয়েছে, ১৮-মিমি পুরু বার্মাটিক বোর্ডের কেবিনেট জায়গায় দেওয়া হয়েছে নিন্মমানের পারটেক্স কেবিনেট।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক অঞ্চল ভট্টাচার্য জানান, আমার লাইসেন্সে কাজ করছে খোকন। কাজ যেহেতু খোকন করেছে তাই খোকন যাকে টাকা দিতে বলেছে আমি তার হাতে দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমি কাজ করিও নি, তাই জানিও না। কাজে কোন অনিয়ম থাকলে যে কাজ করছে সেটা তাদের ব্যাপার।
এবিষয়ে আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে সমাজসেবার সহকারি পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেন, আমরা এই কাজের গুণগত মান ও এস্টিমেটে যা বলা আছে সে অনুযায়ী কাজ না হলে যে বিল বাকী আছে তা ছাড় করব না।
সমাজসেবার উপপরিচালক আশাদুল ইসলাম বলেন, যে কাজগুলোতে অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো যৌক্তিক। আমি উপলব্ধি করতে পারছি এস্টিমেটে এদিক-সেদিক করা হয়েছে। যেহেতু আমি এখানে আসার পর কাজটি পেয়েছি সেহেতু যেখানে কাজের যে সমস্যা আছে তা ঠিক না করলে কোন ছাড় নেই। অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঠিকাদারের কাছে শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়া হবে। আমার সুযোগ আছে কাজটি বুঝে নেওয়ার। না হলে ওই শিশুদের কাছে আমি দায়ী হয়ে থাকব।
উল্লেখ্য: বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা গড়ে সমাজসেবার সহকারি পরিচালক করেছেন একক রাজত্ব। সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও তার অনুসারীদের নানা অনৈতিক সুবিধা দিয়ে দুর্নীতি আর অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন তিনি। এর আগেও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হয়। একের পর এক দুর্নীতি করলেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি থাকছেন ধরা ছোয়ার বাইরে ও বহাল তবিয়তে।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।