মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মেইন ফটকে আজ (০৮-১২-২০২৪) আনুমানিক সকাল ৯ ঘটিকার সময় সাহিদা নামে এক মহিলা তার স্বামী দাবি করে শাহাবুদ্দীন ( আনুমানিক ৪৫) নামে এক ব্যাক্তির লাশ রিক্সা করে নিয়ে আসেন। বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মেইন ফটকে উপস্থিত ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় রিক্সা থেকে লাশ ফুটপাতে রাখেন।
মৃত শাহাবুদ্দীন এর স্ত্রী বলে দাবি করা সাহিদা বলেন, আস্টো(৮) দিন হয়েছে মিরপুর হযরত শাআলী মাজারে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সাহিদা নামের মহিলা আরো জানান, তারঁ বাড়ি বিক্রমপুর, এবং মৃত শাহাবুদ্দীনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। তারা এক সপ্তাহ হয়েছে মিরপুরের শা-আলী মাজারে এসেছেন বলে জানান ।
তবে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মেইন ফটকে উপস্থিত ব্যাক্তি রা জানান, সাহিদা নামের এই মহিলা মৃত শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী এটা মিথ্যা। মৃত শাহাবুদ্দীন মাজারে থাকতো, এবং সাহিদা তার(মৃত শাহাবুদ্দীন) স্ত্রী নয়। তাদের এর পূর্ব একসাথে বসবাস করতে দেখা যায় নি।
পরবর্তীতে মাজার থেকে এক ব্যাক্তি উপস্থিত হলে জানান, আমি সকালেও এনাকে (মৃত শাহাবুদ্দীন) মাজারে দেখেছি ভিক্ষা করতে, যে যাই বলুক, এই মহিলা শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী নয়, এটি বেওয়ারিশ !! আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে আই সি(ইন্সপেক্টর ইনচার্জ) অফিসার মনির উপস্থিত হন, ঘটনাটি তদন্ত চলমান!
এর পূর্বে গাবতলি পুলিশ ফারি হতে উপস্থিত হন, জনাব রাজিব, উপেন সহ তিন জন পুলিশ। তারা সাধারণ জবানবন্দি নেন মৃত শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী দাবি করা সাহিদার।
স্ত্রী দাবি করা সাহিদা বলেন, গত তিম দিন হয় মৃত শাহাবুদ্দিন কিছু খায় না, এমন কি পানিও নয়। হঠাৎ রাস্তায় পরে যায়, পরে রিক্সা করে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার জন্য রিক্সায় তুলেন। পরে অন্য একটি হাসপাতালে নিওয়া হয়, এবং তার পূর্বে মারা যায়। তবে মৃত শাহাবুদ্দিন এর স্ত্রী দাবি করা সাহিদা কোন হাসপাতালে নিয়েছিলো তা সঠিক বলতে পারছে না।
এমন কি মুন্সিগঞ্জের কোন উপজেলাতে তাদের বাড়ি তাও বলতে পারি নি সাহিদা। তবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মেইন ফটকে অবস্থিত যারা লাশ রিক্সা থেকে নামিয়ে ছিলেন তারা বলছ, সাহিদা বলেছিলেন, “শাহাবুদ্দিনের নিকটে তার জাতীয় পরিচয় পত্র আছে” কিন্তু পরবর্তীতে তার নিকটে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া যায় নি, এবং সাহিদাও বলেন না জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল না!
উপস্থিত ব্যাক্তিদের হতে আরো জানা যায় লাশ নিয়ে আসার সময় অল্প বয়সী এক ছেলেও ছিল, পরবর্তী তে সাহিদা তাকে বারবার যেতে বলেন, তবে এতে সাহিদা জানান, এই পোলা ছিল, মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে। কেমন ছেলে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওই পোলা মৃত শাহাবুদ্দিন কে বাপ বলে ডাকত, জন্মদাতা পিতা নন শাহাবুদ্দিন।
তবে পরবর্তীতে সেই ছেলের কোন খবর বা সাক্ষাৎ পাওয়া যায় নি! উপস্থিত ব্যাক্তিরা বলছে, সাহিদা নামের এই মহিলা সেই ছেলে কে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু সাহিদা জানান, না সে যেতে বলেন নি, তার ছেলে নিজের থেকে তার কোন ভাই কে ডাকতে গিয়েছে।বেওয়ারিশ

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?