বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৮ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে স্নাতক পরীক্ষায় অংশ নিল মেয়ে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৪

বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে স্নাতক পরীক্ষায় অংশ নিল মেয়ে
নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ 
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বাড়িতে বাবা আতিকুর রহমান ভূঞা (৭০) মরদেহ রেখে স্নাতক ৩য় বর্ষ (বিএসএস) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মেয়ে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলার কেন্দুয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ফারহানার বাড়িতে চলছে তার বাবার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি। স্বজনরা শোকাহত। এমন অবস্থায় বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিচ্ছে ফারহানা।
তিনি উপজেলার কেন্দুয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ৩য় বর্ষ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ফারহানা মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের পূর্বরায় গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান ভূঞা। শনিবার ভোরে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দুপুরের দিকে তার জানাজার সময় নির্ধারণ করেছে স্বজনরা। আতিকুর রহমানের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ফারহানার বাবা আতিকুর রহমান একজন কৃষক। কষ্ট করে তিনি ছেলে মেয়ের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন ছিল তার। মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বাবার প্রবল ইচ্ছার জেরে ফারহানা এবার বিএসএস ৩য় বর্ষ পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষায় অংশ নেয়ার আগে ফারহানা আক্তার জানায়, বাবা তাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন, সে যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হয়। বাবার ভালোবাসা এবং স্বপ্নের জন্যই তার এ পরীক্ষা দেয়া।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া মৃতের ছোট মেয়ে ফারহানা বলেন, বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছি। পরীক্ষা সোনার মত মানসিক অবস্থা ছিল না। কিন্তু এক বছর পিছিয়ে যাওয়া শঙ্কায় আত্মীয়-স্বজনের অনুরোধে পরীক্ষা অংশ নিচ্ছি। পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে এসে দেখি বাবার দাফন কাজ শেষ হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাবাকে হারানো যে কোনো সন্তানের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। এরপরও ফারহানা বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা তার পরীক্ষার সময় যতটা সহযোগিতা দরকার করছি। তাকে মানসিক ভাবে সাহস দিচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরো খবর