টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে গিয়ে টেকনাফ থেকে রওনা হয়ে আসা একটি কাঠের ট্রলার জেটিতে ভিড়তে দেখা যায়। ট্রলারটি ওই জেটি থেকে সেন্ট মার্টিনগামী কয়েকজন যাত্রী উঠাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া বাইরের সবার জন্য একই নিয়ম। আগের মতো যখন-তখন সেন্ট মার্টিন যাওয়া হচ্ছে না কারো পক্ষে।
সরকারি নিয়ম মেনে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যাচ্ছেন। সেন্ট মার্টিনের বাইরের কাউকে টেকনাফ থেকে ব্যাবসায়িক বা অন্যান্য কাজে দ্বীপে যেতে হলে অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।
জেটিতে কোনো ট্রলার পৌঁছলে কোস্ট গার্ড যাচাই করে তাদের দ্বীপে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। এখন একটি জাহাজ আসছে মাত্র, কম পর্যটক। বড় রিসোর্টগুলো পর্যটক পাচ্ছে।
চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের তরফ থেকে নতুন নিয়ম-পদ্ধতি করায় পর্যটক যাতায়াতে একটু বিলম্ব হয়।
তাতেই দ্বীপের মানুষের কাছে যে বার্তাটি পৌঁছে সেটি এমন—সেন্ট মার্টিন আমেরিকার কাছে বেচে দেবে সরকার, আমেরিকা এখানে ঘাঁটি করবে।
পর্যটক তো দূরের কথা, স্থানীয় কেউ দ্বীপে বসবাস করারও সুযোগ পাবে না। দ্বীপের বাসিন্দা এক বয়োবৃদ্ধ বলেন, কই এখন তো পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন আসতেছে। দ্বীপ তো বিক্রি হয়নি। আমাদের অহেতুক ভয় দেখানো হয়েছে।
সেন্ট মার্টিনে পর্যটক যাতায়াত করায় স্থানীয়রা আবার রোজগারে ফিরেছেন। এখন পর্যটক আসায় ভালো ব্যবসা হচ্ছে। প্রতিবছর অন্তত চার মাস টানা পর্যটকদের দ্বীপে আসার সুযোগ হলে ব্যবসা লাভবান হতো।
পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। প্রথমত, দ্বীপটাকে বাঁচাতে হবে। দ্বিতীয়ত, সেন্ট মার্টিনে পর্যটক যাতায়াতের সুযোগ রাখতে হবে। তবে সেন্ট মার্টিনের মতো একটি দ্বীপে এতগুলো দালান কিভাবে তৈরি হলো, বহুতল ভবনের কারণে দ্বীপটির সৌন্দর্যই নষ্ট হয়ে গেছে। দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা কতটুকু লাভবান হচ্ছে, সেটিও ভাবতে হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?