আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিকা শাহিদা ইসলামকে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানা থেকে লুন্ঠিত হওয়া অস্ত্র।
পুলিশ সুপার জানান, প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গেলে ভোলার ইলিশায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জের ডিবি পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামির অবস্থান সনাক্ত হওয়ার পর সড়ক পথে মুন্সীগঞ্জ থেকে ডিবি পুলিশ লঞ্চের আগেই সেখানে পৌঁছে যায়।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের পুরো ঘটনা তুলে ধরেন।
গ্রেফতারের পর তৌহিদকে নিয়ে সোমবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে ডোবা থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়। এই সময় রাস্তার পাশে সাহিদার রক্তমাখা ভেনটি ব্যাগ জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তলটি ৫ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুট করে।
এর আগে গত শনিবার ভোরে এক্সপ্রেসওয়েতে সাহিদা খুনের পর সন্ধ্যায় তার মা জরিনা খাতুন মেয়ের মরদেহ সনাক্ত করেন এবং পরে হত্যা মামলা করেন।
নিহত সাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং সেখানকার একটি বাসার শিশুদের স্কুলে আনা নেয়ার কাজ করতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে। তারা পাঁচ ভাই-বোন।
পুলিশ জানায়, মাওয়ায় ইলিশ মাছ খাওয়ানোর কথা বলে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সাহিদাকে ফোন করে কৌশলে ডেকে আনে তন্ময়। এরপর শনিবার সকালে ঢাকা- মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি এলাকায় গুলি করে হত্যা করে তন্ময়। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশ থেকে ৫ টি গুলির খোসা উদ্ধার হয়।