মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

যমুনার চর কেটে বালু বিক্রির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

আব্দুল্লাহ আল মামুন, (টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ) শুকনো মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকদের রোপন করা ফসলি জমির বালুমাটি অবৈধভাবে কেটে তা বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী। এসব বালুমাটি রাতের আঁধারে প্রশাসনের আড়ালে ট্রাকযোগ অবাধে বিক্রি করছেন তারা। ফলে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে উপজেলার […]

নিউজ ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৭

আব্দুল্লাহ আল মামুন, (টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ)

শুকনো মৌসুমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকদের রোপন করা ফসলি জমির বালুমাটি অবৈধভাবে কেটে তা বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী। এসব বালুমাটি রাতের আঁধারে প্রশাসনের আড়ালে ট্রাকযোগ অবাধে বিক্রি করছেন তারা। ফলে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে উপজেলার বলরামপুর, তারাই ও গারাবাড়ি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের গারাবাড়ী এলাকায় সড়কে আগুন ধরিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে করে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খরব পেয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন এবং পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের তিনিও একই আশ্বাস দেন।

এরআগে সকালে স্থানীয় লোকজন তারাই স্কুল মাঠে সমবেত হন। পরে সেখান থেকে এলাকাবাসী গারাবাড়ী এলাকায় অবৈধ বালুঘাটে গিয়ে বালু উত্তোলনের বেশ কয়েকটি ভেকু (মাটিকাটার যন্ত্র), একটি ড্রাম ট্রাক ও পাইপ ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। পরে পাইপগুলো মহাসড়কে নিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন তারা।

স্থানীয় একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে সুইট, মোজাম্মেল হোসেন ও যুবদল নেতা টিপুর নেতৃত্বে এই বালুঘাটটি পরিচালনা হতো। তাদের একাধিকবার বাধা দিলেও শোনেনি। তারা রাতের আধারে আমাদের ফসলি জমি কেটে অবাধে বালু বিক্রি করে।

এছাড়াও ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার তারাই, কুঠিবয়ড়া, অর্জুনা, জগৎপুরা ও নলিন এলাকার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাইড ভেঙে গাড়ি চলাচলের রাস্তা তৈরি করে চর কেটে বালু বিক্রি করছে এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে।

তারাই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রজমান আলীসহ অনেকে বলেন, যমুনা নদী শুকিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের নেতৃত্বে বালু কাটা শুরু হয়েছে। দিন-রাত ভেকু দিয়ে বালু কেটে ট্রাকযোগে বিক্রি করছে। এতে ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে তারা। এছাড়া এভাবে নদীর চর কাটায় পাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বর্ষা মৌসুমে।

স্থানীয় সিফাত বলেন, যেভাবে বালু কাটা হচ্ছে তাতে আগামী বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। আমাদের জমিও কেটে নিচ্ছে। বাঁধা দিলেই হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপির নেতারা জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করছে। প্রশসানের কাছে দাবি, বালু উত্তোলন বন্ধে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি পালন করব।

তারাই এলাকার বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন সুইট বলেন, আমি কিছু বলতে পারব না। অপর বিএনপি নেতা মোজাম্মেল বলেন, স্থানীয়দের দাবির বিষয়টি উর্ধ্বতন নেতাদের জানানো হয় এবং তাদের মানববন্ধন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এরপরও সড়ক অবরোধ এবং ঘাটের ভেকু ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বালু ঘাট বন্ধে আশ্বাস দেওয়ার পর তারা অবরোধ তুলে নেন। বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি স্থানীয়দের কাছ থেকে। এছাড়া সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।