আসমত উল্লাহ -বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
বড়াইগ্রামে আঁখি খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে ঘরে খাটের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই শোবার ঘর থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামী ইসমাইল হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রয়না ভরট উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আঁখি রয়না ভরট উত্তরপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় বছর দুয়েক আগে পারিবারিকভাবে নাটোর সদর উপজেলার হাজরাপাড়া এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে আঁখির বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে নির্যাতন করতেন। নির্যাতন থেকে বাঁচতে আঁখি স্বামীকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এর মধ্যেও বিভিন্ন সময় আঁখিকে নির্যাতন করা হতো। সোমবার দুপুরে বিলে রসুন লাগানোর কাজ শেষে তারা দুজনেই বাড়িতে আসেন।
সে সময় আঁখির বাবা-মা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পরে সন্ধ্যার দিকে তারা বাড়িতে এসে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান। এ সময় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে দরজা খুলেই মেয়ের হাত-পা বাধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে তার আগেই আঁখির স্বামী তার সব কাপড়-চোপড়সহ নিজের এবং আঁখির মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আঁখিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
তার গলায় ওড়না পেঁচানো এবং কালশিরা দাগ রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।