শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

পিরোজপুরে জামায়াত নেতা মাসুদ সাইদীর মতবিনিময় সভা

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর ০১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ সাইদীর সাথে স্থানীয় জনগণের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ০২ নং কদমতলা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) স্থানীয় জর্জ হাই […]

নিউজ ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৫০

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুর ০১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ সাইদীর সাথে স্থানীয় জনগণের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ০২ নং কদমতলা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) স্থানীয় জর্জ হাই স্কুল মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কদমতলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক, পিরোজপুর জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, পিরোজপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার  হোসেন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় মাসুদ সাঈদী বলেন, বিগত ২০ বছর আগে এই মাঠে তাফসির ও জনসভা করে গেছেন আল্লামা সাঈদী। ১৭ বছর পরে আমরা এখানে এসেছি কিন্তু কোরআনের পাখি আল্লামা সাইদী আসেনি। আজকে এই ময়দানে কোরআনের পাখিরই আসার কথা ছিল কিন্তু ওই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও খুনি হাসিনা পরিকল্পিতভাবে ভারতের সহযোগিতায় আল্লামা সাঈদী কে হত্যা করেছিল। কারণ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন আল্লামা সাঈদী।
ইসলামবিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে আগে যে কন্ঠটি গর্জে উঠত সেটি হচ্ছে আল্লামা সাঈদী।কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সবথেকে বেশি ভূমিকা যিনি রেখেছেন তিনি আল্লামা সাঈদী।এই কারণে ফ্যাসিস্টরা আল্লামা সাঈদীকে কোরআনের ময়দান থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করেছিল।আর সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে ১৩ বছর কারাগারে আটকে রাখার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি কল্যাণকর ইসলামী রাষ্ট্র  কায়েম করতে চায়, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হলে আমাদেরকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলাম কায়েমের জন্য  যুদ্ধের কোন সুযোগ নাই। তাই আগামীতে যদি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চান, তাহলে আগামীতে প্রত্যেকটি নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। তাহলেই একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সারাদেশ

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিমের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামেরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার বাবার নাম এরশাদ হাওলাদার। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান সময় সংবাদকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় […]

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিমের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মে ২০২৫, ২২:৫৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামেরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার বাবার নাম এরশাদ হাওলাদার।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান সময় সংবাদকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সন্ধ্যায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তার আগেই পুড়ে যায় তামিম হাওলাদারের দুটি বসতঘর। কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটের সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। এ ঘটনায় তামিম হাওলাদারসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকও ছিলেন। সাম্য সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ফখরুল আলমের ছেলে।