মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী সেই যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

“দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আমরা কেবল যুদ্ধবিমান নয়, অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ সর্বোচ্চ আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

নিউজ ডেস্ক

১১ মে ২০২৫, ১০:৪১

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জের ধরে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশসীমায় নতুন শক্তির আগমন—চীনের ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান জে-১০সি এখন আলোচনা ও আতঙ্কের কেন্দ্রে। যে বিমান ভারতের বহু কোটির রাফালকে নিঃশব্দে পর্যুদস্ত করেছে, এবার সেই জে-১০সি কিনছে বাংলাদেশ। এতে হুঁশ ফিরেছে দিল্লির, কারণ একাত্তরের পর এই প্রথমবার প্রতিবেশী দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় এমন বিপর্যয়কর পালাবদল দেখা দিচ্ছে।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে। পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় এই বিমান মোতায়েন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা ভারতের জন্য এক ভয়ঙ্কর বার্তা।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ইতোমধ্যে ১৬টি জে-১০সি সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পুরোনো F-7 যুদ্ধবিমানের স্থলে এই সুপারসনিক যুদ্ধযন্ত্রগুলো আসবে, যা শুধু প্রতিরক্ষা নয়—যেকোনো আগ্রাসনের মুহূর্তে সরাসরি জবাব দিতে সক্ষম।

বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,

“দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আমরা কেবল যুদ্ধবিমান নয়, অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ সর্বোচ্চ আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি শুধু একটি সামরিক কেনাকাটা নয়—এটি দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে শক্তির সমীকরণ বদলে দেবে। যেখানে ভারত এখন পাকিস্তানের পর বাংলাদেশের সঙ্গেও প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়ার হুমকির মুখে।

চীন ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই চুক্তি। পাকিস্তান ২০২২ সালে ২৫টি জে-১০সি সংগ্রহ করে চীনা প্রভাব জোরদার করেছিল। এবার বাংলাদেশের পদক্ষেপে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্যে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হলো।

বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) […]

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৯ আগস্ট ২০২৫, ২২:০৫

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুদীর্ঘ বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাকের অন্যতম বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য সম্ভাবনা এবং সাপ্লাই চেইনের সুবিধাকে কাজে লাগাতে- দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের এখনই উত্তম সময়। পাশাপাশি, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক হ্রাস করায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন পল জি. ফ্রস্ট।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংসের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রি. জে. (অব) আবু নাঈম মো. শহীদউল্লাহ, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট আবির বড়ুয়া প্রমুখ।

বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়ল ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ জাহাজ

ক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।

নিউজ ডেস্ক

২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০

ক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।

এই প্রকল্পের প্রথম চালান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে রয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গম।

সূত্র জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপরও ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছিল। সেই শুল্কের প্রভাব কমাতে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার শুল্ক প্রত্যাহার ও আমদানি বৃদ্ধির পথে অগ্রসর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

ঢাকায় ওই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি হয়েছে। আগে ভারত, রাশিয়া, বেলারুসসহ অন্যান্য দেশ থেকেও গম আমদানি করা হতো। দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্ক হার কমিয়ে ২০ শতাংশে নামানো হয়।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গম আমদানি কার্যক্রম এখন চলমান। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এই চালানের ৫৬ হাজার ৯৫৯ টনের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।