মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্কিন বাজারে রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্কিন বাজারে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি।গত নভেম্বর পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে থাকলেও ২০২৪ সালের মোট হিসাবে বছর ব্যবধানে বাজারটিতে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় পৌনে এক শতাংশ। দেশটির বাজারে এ খাতে রপ্তানির শীর্ষে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামএকক দেশ হিসেবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি […]

নিউজ ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৮

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্কিন বাজারে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি।
গত নভেম্বর পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে থাকলেও ২০২৪ সালের মোট হিসাবে বছর ব্যবধানে বাজারটিতে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় পৌনে এক শতাংশ।


দেশটির বাজারে এ খাতে রপ্তানির শীর্ষে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি পোশাকের প্রায় ২০ ভাগই যায় দেশটিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতরের অধীন অফিস অব টেক্সটাইলস ও অ্যাপারেল (অটেক্সা) প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশটিতে গত বছর বাংলাদেশ থেকে গেছে ৭৩৪ কোটি ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৬ ডলারের তৈরি পোশাক।


আগের বছরের তুলনায় যা পৌনে এক শতাংশ বেশি। অথচ ২০২২ সালের পর বাজারটিতে রপ্তানি কমেছিল ২৫ শতাংশের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত বছর চীনা পোশাকের রপ্তানি আয়ও বেড়েছে।

২০২২ সালে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৩ ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানির পর ২০২৩ সালে প্রায় ২৫ শতাংশ কমে নামে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ২০৭ ডলারে। গত বছর আবার প্রায় দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৬ হাজার ৭১৩ মার্কিন ডলারে।

মার্কিন বাজার দখলে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ভিয়েতনাম। ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭২ ডলারের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে দেশটি। যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩২ শতাংশ বেশি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে গত বছর ভারতের পোশাক রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ আর ১.৪০ শতাংশ বেড়েছে ইন্দোনেশিয়ার।

বানিজ্য

সুইজারল্যান্ড থেকে আসবে ১৩২৬ কোটি টাকার এলএনজি

দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮০ টাকা। সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০২

দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮০ টাকা।

সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮  অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (৫-৬ জানুয়ারি ২০২৫ সময়ে) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বানিজ্য

পাকিস্তানি গণমাধ্যমের ভাষ্যে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক

৫ আগস্ট ২০২৪-শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উৎপত্তির পর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অনেক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ফলে এ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৫৯

৫ আগস্ট ২০২৪-শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উৎপত্তির পর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অনেক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ফলে এ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানপন্থী অবস্থানের জন্য দলটির রাজনীতিবিদদের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

‘ভারতপন্থী দল’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রবণতায় তীব্রতা দৃশ্যমান হয়। আওয়ামী লীগ-ভারত জোট সর্বদা পাকিস্তানের জন্য একটি ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সমীকরণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের উন্নতির আশা জেগেছে।

উভয় পক্ষের মধ্যে সদিচ্ছার যথেষ্ট সূচক রয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রামে নোঙর করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথ চালু হয়েছে। পূর্বে, পণ্যবাহী জাহাজগুলিকে পাকিস্তানে পৌঁছানোর আগে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো তৃতীয় বন্দর দিয়ে যেতে হত। সমুদ্রপথটি কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করবে না বরং সময় এবং অর্থও সাশ্রয় করবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্যের বাধ্যতামূলক ১০০ শতাংশ ফিজিক্যাল ইন্সপেকশনও তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইসলামাবাদ পাকিস্তানে বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তান-বাংলাদেশ বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ৩০০ বাঙালি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় একটি ঐতিহাসিক সফর করবেন, যা ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। ইসহাক দার ২০১২ সালের পর ঢাকা সফরকারী প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন।


মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সমাপ্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। ভিসা বিধিনিষেধ এবং সরাসরি বিমান চলাচল সহজ করার ফলে পর্যটন বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের জন্য ঘন ঘন ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষামূলক কর্মসূচি এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচি সম্প্রসারণের ফলে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভাগ করা ঐতিহ্যিক বন্ধন আরও গভীর হবে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলায় কৌশলগত আস্থা তৈরি করবে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের এই সুযোগটি কাজে লাগানো উচিত, পারস্পরিক সুবিধা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করা উচিত।

দৃশ্যমান এই সমস্ত উন্নয়ন অবশ্যই প্রশংসনীয়; তবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদকে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৭৮২ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যের সম্মিলিত সম্ভাবনার দিকে তাকালে এটি একটি নগণ্য পরিমাণ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য এবং শুল্ক নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা প্রয়োজন। শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য আন্তঃনির্ভরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সাফটার মতো বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য উভয় দেশের সংলাপ করা প্রয়োজন। এটি ঢাকা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।


বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের আলোচনার খবর প্রকাশ করেছে। বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল সংযোগকারী বিমানের মাধ্যমে হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। সরাসরি বিমান চলাচল সময় এবং অর্থ উভয়ই কমিয়ে দেবে। তাছাড়া, উভয় দেশের ভিসা নিয়ম পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভিসা নিয়ম সহজ করলে ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ জোরদার হবে।

শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও জোরদার করা যেতে পারে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সঠিক সংখ্যা চ্যালেঞ্জিং কারণ কোন দেশই বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস বজায় রাখেনি। তবে, সম্মিলিত জনসংখ্যা বিবেচনা করে সংখ্যাটি সীমিত বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা সার্ক কোটা এবং সরকারি বৃত্তি কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশে ভর্তি হয়। দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাগত এবং আদর্শিক আদান-প্রদান বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের এই সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত। দুই দেশের আন্তঃসংযুক্ত এবং শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০০ বৃত্তি ঘোষণা এই পথে একটি ভালো পদক্ষেপ।

বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ নামমাত্র। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ধর্ম এবং বিভাগ-পূর্ব ভারতের স্মৃতি ভাগাভাগি করে আছে। বাংলাদেশে বিখ্যাত পাকিস্তানি কাওয়াল রাহাত ফতেহ আলী খানের পরিবেশনা দেখায় যে সংস্কৃতি এবং সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আঞ্চলিক সীমাকে অতিক্রম করেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের অনুভূতি লালন করার জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে।

বানিজ্য

পাকিস্তানী জাহাজে এবার যা যা এসেছে বাংলাদেশে

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) ভিড়েছে পাকিস্তান থেকে আসা আলোচিত জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে জাহাজটি ৮১১টি (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার নিয়ে বন্দরে পৌঁছায়। এর আগে বেলা ২টার দিকে জাহাজটিকে চট্টগ্রামে বোট ক্লাবের পাশে দিয়ে বন্দরে দিকে যেতে দেখা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শিপিং […]

নিউজ ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৭

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) ভিড়েছে পাকিস্তান থেকে আসা আলোচিত জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে জাহাজটি ৮১১টি (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার নিয়ে বন্দরে পৌঁছায়।

এর আগে বেলা ২টার দিকে জাহাজটিকে চট্টগ্রামে বোট ক্লাবের পাশে দিয়ে বন্দরে দিকে যেতে দেখা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শিপিং এজেন্ট কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজেন্সি লাইনস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা।

তিনি বলেন, জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে ৮১১টি কনটেইনার নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ পণ্য পাকিস্তান থেকে এবং বাকি ১৪ শতাংশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১১৩টি কনটেইনার নিয়ে করাচি যায় জাহাজটি। পরে করাচি থেকে আরও ৬৯৮টি কনটেইনার বোঝাই করে চট্টগ্রামে আসে।

তিনি আরও জানান, প্রথমবারের তুলনায় এবার জাহাজটি কম সময়ে দ্বিগুণ কনটেইনার এনেছে। এতে ব্যবসায়ীদের খরচও সাশ্রয় হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, আইজিএমের (ইমপোর্ট জেনারেল ম্যানিফেস্ট) ঘোষণা অনুযায়ী, জাহাজটিতে সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি। এর মধ্যে ২৮৫ কনটেইনারে রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ ব্যাগ চিনি, যার ওজন প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন।

এছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে, ১৭১ কনটেইনার ডলোমাইট (গ্লাস তৈরির কাঁচামাল), ১৩৮ কনটেইনার সোডা অ্যাশ (সিমেন্টের কাঁচামাল), ৪৬ কনটেইনার কাপড়ের রোল, ১৮ কনটেইনার আলু এবং ২০ কনটেইনার আখের গুড়।

এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি পণ্য দ্রুত সময়ে পৌঁছে দিয়ে ব্যবসায়িক খরচ কমিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলেও জানান তিনি।