সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্কিন বাজারে রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্কিন বাজারে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি।গত নভেম্বর পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে থাকলেও ২০২৪ সালের মোট হিসাবে বছর ব্যবধানে বাজারটিতে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় পৌনে এক শতাংশ। দেশটির বাজারে এ খাতে রপ্তানির শীর্ষে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামএকক দেশ হিসেবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি […]

নিউজ ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৮

নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মার্কিন বাজারে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি।
গত নভেম্বর পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে থাকলেও ২০২৪ সালের মোট হিসাবে বছর ব্যবধানে বাজারটিতে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় পৌনে এক শতাংশ।


দেশটির বাজারে এ খাতে রপ্তানির শীর্ষে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি পোশাকের প্রায় ২০ ভাগই যায় দেশটিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতরের অধীন অফিস অব টেক্সটাইলস ও অ্যাপারেল (অটেক্সা) প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশটিতে গত বছর বাংলাদেশ থেকে গেছে ৭৩৪ কোটি ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৬ ডলারের তৈরি পোশাক।


আগের বছরের তুলনায় যা পৌনে এক শতাংশ বেশি। অথচ ২০২২ সালের পর বাজারটিতে রপ্তানি কমেছিল ২৫ শতাংশের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত বছর চীনা পোশাকের রপ্তানি আয়ও বেড়েছে।

২০২২ সালে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৩ ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানির পর ২০২৩ সালে প্রায় ২৫ শতাংশ কমে নামে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ২০৭ ডলারে। গত বছর আবার প্রায় দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৬ হাজার ৭১৩ মার্কিন ডলারে।

মার্কিন বাজার দখলে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ভিয়েতনাম। ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭২ ডলারের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে দেশটি। যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩২ শতাংশ বেশি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে গত বছর ভারতের পোশাক রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ আর ১.৪০ শতাংশ বেড়েছে ইন্দোনেশিয়ার।

বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) […]

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৯ আগস্ট ২০২৫, ২২:০৫

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুদীর্ঘ বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাকের অন্যতম বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য সম্ভাবনা এবং সাপ্লাই চেইনের সুবিধাকে কাজে লাগাতে- দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের এখনই উত্তম সময়। পাশাপাশি, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক হ্রাস করায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন পল জি. ফ্রস্ট।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংসের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রি. জে. (অব) আবু নাঈম মো. শহীদউল্লাহ, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট আবির বড়ুয়া প্রমুখ।

বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়ল ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ জাহাজ

ক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।

নিউজ ডেস্ক

২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০

ক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।

এই প্রকল্পের প্রথম চালান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে রয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গম।

সূত্র জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপরও ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছিল। সেই শুল্কের প্রভাব কমাতে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার শুল্ক প্রত্যাহার ও আমদানি বৃদ্ধির পথে অগ্রসর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

ঢাকায় ওই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি হয়েছে। আগে ভারত, রাশিয়া, বেলারুসসহ অন্যান্য দেশ থেকেও গম আমদানি করা হতো। দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্ক হার কমিয়ে ২০ শতাংশে নামানো হয়।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গম আমদানি কার্যক্রম এখন চলমান। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এই চালানের ৫৬ হাজার ৯৫৯ টনের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।