সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

দেশে রপ্তানি আয়ে সুবাতাস, বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের ব্যবধানে যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো […]

নিউজ ডেস্ক

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৭

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের ব্যবধানে যা বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালে এ আয় ছিল ৩৪৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ১৮৫ কোটি ২ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। তবে কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।

এ ছাড়া কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

বানিজ্য

পাকিস্তানি গণমাধ্যমের ভাষ্যে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক

৫ আগস্ট ২০২৪-শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উৎপত্তির পর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অনেক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ফলে এ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৫৯

৫ আগস্ট ২০২৪-শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উৎপত্তির পর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অনেক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ফলে এ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানপন্থী অবস্থানের জন্য দলটির রাজনীতিবিদদের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

‘ভারতপন্থী দল’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রবণতায় তীব্রতা দৃশ্যমান হয়। আওয়ামী লীগ-ভারত জোট সর্বদা পাকিস্তানের জন্য একটি ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সমীকরণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের উন্নতির আশা জেগেছে।

উভয় পক্ষের মধ্যে সদিচ্ছার যথেষ্ট সূচক রয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রামে নোঙর করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথ চালু হয়েছে। পূর্বে, পণ্যবাহী জাহাজগুলিকে পাকিস্তানে পৌঁছানোর আগে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো তৃতীয় বন্দর দিয়ে যেতে হত। সমুদ্রপথটি কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করবে না বরং সময় এবং অর্থও সাশ্রয় করবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্যের বাধ্যতামূলক ১০০ শতাংশ ফিজিক্যাল ইন্সপেকশনও তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইসলামাবাদ পাকিস্তানে বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তান-বাংলাদেশ বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ৩০০ বাঙালি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় একটি ঐতিহাসিক সফর করবেন, যা ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। ইসহাক দার ২০১২ সালের পর ঢাকা সফরকারী প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন।


মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সমাপ্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। ভিসা বিধিনিষেধ এবং সরাসরি বিমান চলাচল সহজ করার ফলে পর্যটন বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের জন্য ঘন ঘন ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষামূলক কর্মসূচি এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচি সম্প্রসারণের ফলে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভাগ করা ঐতিহ্যিক বন্ধন আরও গভীর হবে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলায় কৌশলগত আস্থা তৈরি করবে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের এই সুযোগটি কাজে লাগানো উচিত, পারস্পরিক সুবিধা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করা উচিত।

দৃশ্যমান এই সমস্ত উন্নয়ন অবশ্যই প্রশংসনীয়; তবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদকে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৭৮২ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যের সম্মিলিত সম্ভাবনার দিকে তাকালে এটি একটি নগণ্য পরিমাণ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য এবং শুল্ক নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা প্রয়োজন। শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য আন্তঃনির্ভরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সাফটার মতো বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য উভয় দেশের সংলাপ করা প্রয়োজন। এটি ঢাকা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।


বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের আলোচনার খবর প্রকাশ করেছে। বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল সংযোগকারী বিমানের মাধ্যমে হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। সরাসরি বিমান চলাচল সময় এবং অর্থ উভয়ই কমিয়ে দেবে। তাছাড়া, উভয় দেশের ভিসা নিয়ম পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভিসা নিয়ম সহজ করলে ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ জোরদার হবে।

শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও জোরদার করা যেতে পারে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সঠিক সংখ্যা চ্যালেঞ্জিং কারণ কোন দেশই বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস বজায় রাখেনি। তবে, সম্মিলিত জনসংখ্যা বিবেচনা করে সংখ্যাটি সীমিত বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা সার্ক কোটা এবং সরকারি বৃত্তি কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশে ভর্তি হয়। দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাগত এবং আদর্শিক আদান-প্রদান বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের এই সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত। দুই দেশের আন্তঃসংযুক্ত এবং শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০০ বৃত্তি ঘোষণা এই পথে একটি ভালো পদক্ষেপ।

বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ নামমাত্র। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ধর্ম এবং বিভাগ-পূর্ব ভারতের স্মৃতি ভাগাভাগি করে আছে। বাংলাদেশে বিখ্যাত পাকিস্তানি কাওয়াল রাহাত ফতেহ আলী খানের পরিবেশনা দেখায় যে সংস্কৃতি এবং সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আঞ্চলিক সীমাকে অতিক্রম করেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের অনুভূতি লালন করার জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে।

বানিজ্য

শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতের পরিবর্তে পাকিস্তান থেকে পশু খাদ্য আমদানি

বন্দর নির্মাণের পর প্রথমবারের মতো মোংলায় ভিড়েছে পশু খাদ্য (চিটাগুড়) বহনকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমভি ডলফিন-১৯ নামক পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন (চিটাগুড়) পশু খাদ্য নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:৩৭

বন্দর নির্মাণের পর প্রথমবারের মতো মোংলায় ভিড়েছে পশু খাদ্য (চিটাগুড়) বহনকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমভি ডলফিন-১৯ নামক পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন (চিটাগুড়) পশু খাদ্য নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই বাণিজ্যিক জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারককে স্বাগত জানায় কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য-(হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার ও উপপরিচালক মাকরুজ্জামান মুন্সিসহ বন্দরেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রথম বাংলাদেশি আমদানিকারক মণ্ডল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ মোংলা বন্দরের মাধ্যমে পশুখাদ্য (চিটাগুড়) আমদানি করেছে।

এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক জানান, তিনিসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দেশের চাহিদা মেটানো শেষে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি চিটাগুড় রফতানি করতেন।
কিন্তু সুগার মিল কমে যাওয়ায় এবং গুড় তৈরি না করার কারণে এখন তারা আমদানি করে দেশের পশুখাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছেন। তবে আগে তারা ভারত থেকে এই চিটাগুড় আমদানি করতেন।

রাজনৈতিক কারণে অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশি আমদানিকারকগণ এসব পণ্য আমদানি করতে পারতেন না। এ সুযোগে বাংলাদেশে এ পণ্য রফতানি উপর ভারত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে।

এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের ফলে তারা এখন পাকিস্তান থেকে পশুখাদ্য আমদানি শুরু করেছেন। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা এ পণ্য প্রথম মোংলা বন্দরে আনা হয়েছে। এখান থেকে পণ্য খালাস করে সড়ক পথে নেওয়া হবে রাজশাহী বিভাগে।


পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির ফলে দেশের বাজারে পশুখাদ্যের দাম কমবে বলে তিনি জানান।
এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, বন্দর নির্মাণের পর এই প্রথম মোংলায় আসলো পশুখাদ্যবহনকারী বাণিজ্যিক জাহাজ।

যে সকল পণ্য আগে কখনো এ বন্দরে আসেনি নতুন করে এসব পণ্য আমদানির ফলে মোংলা বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। তাই আগামীতে যেন জেটি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে রেলস্টেশনে নেওয়া সম্ভব হয় এ জন্য পাইপলাইন বসানো হবে। এরপর ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজে কম খরচে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেল ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৭ মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়ে ৪৯৬টি। ৬৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৩শত মেট্রিকটন পণ্য রফতানি করা হয়। ১২ হাজার ৮৩ টিউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি জাহাজ থেকে ৬৭৫১টি গাড়ী খালাস করা হয়।

২০২৫ সালের শুরুতে জাহাজ আসার পরিমান বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এ বন্দরে জাহাজ ভিড়ে ৭৬টি। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে জাহাজ ভিড়ে ৮৩টি।

বানিজ্য

বাংলাদেশ বিমান ভেঙে নতুন এয়ারলাইনস তৈরির সুপারিশ

অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্স কমিটি বাংলাদেশ বিমান ভেঙে এর অর্ধেক সম্পদ ব্যবহার করে ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি এয়ারলাইনস তৈরির সুপারিশ করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান ৫০ বছরেও আধুনিক […]

নিউজ ডেস্ক

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮:৩৭

অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্স কমিটি বাংলাদেশ বিমান ভেঙে এর অর্ধেক সম্পদ ব্যবহার করে ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি এয়ারলাইনস তৈরির সুপারিশ করেছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান ৫০ বছরেও আধুনিক ও উন্নত যাত্রীসেবা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এটি ভেঙে এর অর্ধেক সম্পদ ব্যবহার করে ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি এয়ারলাইনস তৈরির সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্স কমিটি।


তিনি আরও বলেন, নতুন এই এয়ারলাইনস বিশ্বমানের স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা কোম্পানি মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ বিমান একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান। বিদেশিরা এসে মুনাফা করছে অথচ বিমান পারছে না।