বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

সৌদি চায় চট্টগ্রাম ও জেদ্দা বা দাম্মামের মধ্যে একটি সমুদ্রপথ স্থাপন করতে

সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা আল দুহাইলান আরও বলেন, আরামকো এখনো বাংলাদেশে আসতে চায়। কোম্পানিটি বঙ্গোপসাগরে একটি তেল শোধনাগার স্থাপন করতে চায়, যা বাংলাদেশের পাশাপাশি এ অঞ্চলের তেল সরবরাহে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, “যদি চট্টগ্রাম ও জেদ্দা বা দাম্মামের মধ্যে একটি সমুদ্রপথ স্থাপন করা যায়, তবে এটি বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের জন্য আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। তিনি […]

নিউজ ডেস্ক

২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:০২

সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা আল দুহাইলান আরও বলেন, আরামকো এখনো বাংলাদেশে আসতে চায়। কোম্পানিটি বঙ্গোপসাগরে একটি তেল শোধনাগার স্থাপন করতে চায়, যা বাংলাদেশের পাশাপাশি এ অঞ্চলের তেল সরবরাহে সহায়ক হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “যদি চট্টগ্রাম ও জেদ্দা বা দাম্মামের মধ্যে একটি সমুদ্রপথ স্থাপন করা যায়, তবে এটি বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের জন্য আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত শোধনাগারের পণ্যগুলো চীন, ভারত এবং আশপাশের অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্কের গুরুত্ব
সালেহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বহুস্তরীয় সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের বাণিজ্য বর্তমানে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিনামূল্যের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে এর জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকার একা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না। এর জন্য বেসরকারি খাতের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তারা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

বানিজ্য

১ শতাংশ চালও ভারত থেকে আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ আড়াই বছর […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩২

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির অনুমতি পেলেও ভারতে দামের ঊর্ধ্বগতি আর স্বল্প সময়ের কারণে এবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ছিল কম। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল আসেনি দেশে।

ভারত থেকে চাল আমদানির শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ২৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দরে মাত্র তিন হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

এর আগে সরকার দেশের ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে তিন লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল চাল আমদানি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ আটটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করেছে।

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে সবশেষ তিনটি ট্রাকে করে ১০৫ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে ৯৭ ট্রাকে ৩ হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।

সরকার চালের শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থাৎ গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে তিন হাজার ৩২০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

এছাড়া অনান্য বন্দর দিয়েও কম-বেশি আমদানি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

যে সময় চাল আমদানির অনুমতি মিলেছে তখন দেশীয় বাজারে সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া ভারতের বাজারেও চালের দাম চড়া থাকায় লাভ নিয়ে শঙ্কা বাড়ায় অনেকেই আর আমদানি করেনি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সরকার মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয়ায় অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি।

বানিজ্য

পাকিস্তানে রপ্তানি হবে বাংলাদেশের ওষুধ

বাংলাদেশের ওষুধ এবার রপ্তানি হতে পারে পাকিস্তানে। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী। স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। প্রায় এক […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫

বাংলাদেশের ওষুধ এবার রপ্তানি হতে পারে পাকিস্তানে। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।

স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় তারা স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ আমদানি এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে মতবিনিময় করেন।

হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, “বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।” তার মতে, দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো সম্ভব।

এই আলোচনায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ মারুফ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশীদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

বানিজ্য

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে পাথর, চাল, ভুষি, গমের পর আবারও শুরু হয়েছে পেঁয়াজের আমদানি। বন্দরটি দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার। জানা যায়, বন্দরটিতে পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর ভারত থেকে বন্দরটিতে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।  ৭ […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে পাথর, চাল, ভুষি, গমের পর আবারও শুরু হয়েছে পেঁয়াজের আমদানি।

বন্দরটি দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার।
জানা যায়, বন্দরটিতে পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর ভারত থেকে বন্দরটিতে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।  ৭ ডিসেম্বর ৩০ মেট্রিক টন, ৩ ডিসেম্বর ৩০ মে.টন, ২৭ নভেম্বর ৩০ মে.টন. ২০ নভেম্বর ৩০ মে.টন ও ১৮ নভেম্বর ৩০ মে.টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

বর্তমানে বন্দরটি আমদানিকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশই পাথর। এ ছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। এসব পণ্যের পাশাপাশি বর্তমানে পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে।

অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যেও ভারত থেকে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। বিষয়টি ইতিবাচক দেখছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রফতানি শুরুহয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হচ্ছে। প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে এ স্থলবন্দরটি। বর্তমানে আমদানির পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের ৩ লাখ বর্গফুটের ইয়ার্ডে দেখা দিয়েছে জায়গা সংকট।

ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে পাথরের পাশাপাশি চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।