সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

আরব আমিরাত দিয়ে আবার বাংলাদেশের জাহাজ রফতানি শুরু

প্রায় দুই বছর পর আবারও বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রপ্তানি শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘রায়ান’ নামের একটি জাহাজ রপ্তানি করবে। বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ড ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের এনজিয়ান শিপিং কোম্পানির কাছে একটি সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি করে। […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১৫

প্রায় দুই বছর পর আবারও বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রপ্তানি শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘রায়ান’ নামের একটি জাহাজ রপ্তানি করবে।

বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ড ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের এনজিয়ান শিপিং কোম্পানির কাছে একটি সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি করে। এটিই ছিল বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি।

ল্যান্ডিং ক্রাফট ধরনের এই জাহাজের মাধ্যমে ভুলতে বসা জাহাজ রপ্তানির কথা সামনে আনল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। প্রতিষ্ঠানটি একই ক্রেতার কাছে পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি জাহাজ রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছে।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেন, জাহাজ রপ্তানিতে যে খরা ছিল, তা দীর্ঘদিন পর কাটতে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে জাহাজ নির্মাণের খাতে এখন আবার প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এতে করে নতুন কার্যাদেশ আসার সম্ভাবনা বেড়েছে।

বাংলাদেশ থেকে প্রথম জাহাজ রপ্তানি করে আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ। ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেনমার্কে জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে এই অভিযাত্রা শুরু হয়।

প্রথম রপ্তানি হওয়া জাহাজটির নাম ছিল এমভি স্টেলা ম্যারিস। কনটেইনার পরিবহনের উপযোগী করে তৈরি জাহাজটির রপ্তানিমূল্য ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। তবে জাহাজ রপ্তানির দুই বছর আগে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি মোজাম্বিকে ফেরি রপ্তানি করেছিল।

এরপর ২০১০ সালে জাহাজ রপ্তানিতে যুক্ত হয় চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের নাম। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি জার্মানিতে একটি সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি করে। জাহাজটির রপ্তানিমূল্য ছিল ১২৩ কোটি টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট জাহাজ ও জলযান রপ্তানি হয়েছে ৪৫টি। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ১৯।

বানিজ্য

ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী সেই যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

“দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আমরা কেবল যুদ্ধবিমান নয়, অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ সর্বোচ্চ আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

নিউজ ডেস্ক

১১ মে ২০২৫, ১০:৪১

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জের ধরে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশসীমায় নতুন শক্তির আগমন—চীনের ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান জে-১০সি এখন আলোচনা ও আতঙ্কের কেন্দ্রে। যে বিমান ভারতের বহু কোটির রাফালকে নিঃশব্দে পর্যুদস্ত করেছে, এবার সেই জে-১০সি কিনছে বাংলাদেশ। এতে হুঁশ ফিরেছে দিল্লির, কারণ একাত্তরের পর এই প্রথমবার প্রতিবেশী দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় এমন বিপর্যয়কর পালাবদল দেখা দিচ্ছে।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে। পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় এই বিমান মোতায়েন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা ভারতের জন্য এক ভয়ঙ্কর বার্তা।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ইতোমধ্যে ১৬টি জে-১০সি সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পুরোনো F-7 যুদ্ধবিমানের স্থলে এই সুপারসনিক যুদ্ধযন্ত্রগুলো আসবে, যা শুধু প্রতিরক্ষা নয়—যেকোনো আগ্রাসনের মুহূর্তে সরাসরি জবাব দিতে সক্ষম।

বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,

“দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আমরা কেবল যুদ্ধবিমান নয়, অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ সর্বোচ্চ আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি শুধু একটি সামরিক কেনাকাটা নয়—এটি দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে শক্তির সমীকরণ বদলে দেবে। যেখানে ভারত এখন পাকিস্তানের পর বাংলাদেশের সঙ্গেও প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়ার হুমকির মুখে।

চীন ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই চুক্তি। পাকিস্তান ২০২২ সালে ২৫টি জে-১০সি সংগ্রহ করে চীনা প্রভাব জোরদার করেছিল। এবার বাংলাদেশের পদক্ষেপে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্যে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হলো।

বানিজ্য

বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ দুটি নির্ধারিত প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্র থেকে এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ […]

বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩৪

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ দুটি নির্ধারিত প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্র থেকে এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ ঋণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর ফর বাংলাদেশ গেইল মার্টিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশকে সম্প্রতি যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি বড় প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর একটি হলো ‘বে-টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’, যেখানে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রয়েছে। এতে করে জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষমতা বাড়বে, যার ফলে পরিবহন ব্যয় এবং সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

বিশ্বব্যাংকের ধারণা, উন্নত বন্দরের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন মাত্রা পাবে। প্রতিদিন গড়ে এক মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের সম্ভাবনার পাশাপাশি বড় জাহাজ আগমনের সুবিধা তৈরি হবে, যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত করবে।

এ ছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা ও নারী কর্মীদের জন্য বন্দর-সংক্রান্ত কর্মক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘স্ট্রেন্থেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইমপ্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন অ্যান্ড টার্গেটিং (এসএসপিআইআরআইটি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২০ কোটি ডলার।

আশা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, ক্ষুদ্রঋণ এবং পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অন্যষ্ঠানে ইআরডি শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং দেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা অর্জনে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের জলবায়ু স্থিতিশীলতা এবং একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

আর বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি গেইল মার্টিন বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে থাকতে হলে বাংলাদেশকে তার জনসংখ্যার জন্য, বিশেষ করে প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশকারী প্রায় ২০ লাখ যুবকের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।

বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবচেয়ে দুর্বলদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থেকে উত্তরণে ও চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একটি গেম-চেঞ্জার হবে বিশ্বব্যাংকের এই আর্থিক প্যাকেজটি।