রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

১ শতাংশ চালও ভারত থেকে আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ আড়াই বছর […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩২

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির অনুমতি পেলেও ভারতে দামের ঊর্ধ্বগতি আর স্বল্প সময়ের কারণে এবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ছিল কম। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল আসেনি দেশে।

ভারত থেকে চাল আমদানির শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ২৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দরে মাত্র তিন হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

এর আগে সরকার দেশের ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে তিন লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল চাল আমদানি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ আটটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করেছে।

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে সবশেষ তিনটি ট্রাকে করে ১০৫ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে ৯৭ ট্রাকে ৩ হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।

সরকার চালের শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থাৎ গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে তিন হাজার ৩২০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

এছাড়া অনান্য বন্দর দিয়েও কম-বেশি আমদানি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

যে সময় চাল আমদানির অনুমতি মিলেছে তখন দেশীয় বাজারে সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া ভারতের বাজারেও চালের দাম চড়া থাকায় লাভ নিয়ে শঙ্কা বাড়ায় অনেকেই আর আমদানি করেনি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সরকার মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয়ায় অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি।

বানিজ্য

পাকিস্তানি গণমাধ্যমের ভাষ্যে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক

৫ আগস্ট ২০২৪-শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উৎপত্তির পর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অনেক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ফলে এ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৫৯

৫ আগস্ট ২০২৪-শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উৎপত্তির পর থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অনেক উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ফলে এ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানপন্থী অবস্থানের জন্য দলটির রাজনীতিবিদদের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

‘ভারতপন্থী দল’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রবণতায় তীব্রতা দৃশ্যমান হয়। আওয়ামী লীগ-ভারত জোট সর্বদা পাকিস্তানের জন্য একটি ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সমীকরণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের উন্নতির আশা জেগেছে।

উভয় পক্ষের মধ্যে সদিচ্ছার যথেষ্ট সূচক রয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রামে নোঙর করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথ চালু হয়েছে। পূর্বে, পণ্যবাহী জাহাজগুলিকে পাকিস্তানে পৌঁছানোর আগে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো তৃতীয় বন্দর দিয়ে যেতে হত। সমুদ্রপথটি কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করবে না বরং সময় এবং অর্থও সাশ্রয় করবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্যের বাধ্যতামূলক ১০০ শতাংশ ফিজিক্যাল ইন্সপেকশনও তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইসলামাবাদ পাকিস্তানে বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তান-বাংলাদেশ বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ৩০০ বাঙালি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় একটি ঐতিহাসিক সফর করবেন, যা ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। ইসহাক দার ২০১২ সালের পর ঢাকা সফরকারী প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন।


মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সমাপ্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। ভিসা বিধিনিষেধ এবং সরাসরি বিমান চলাচল সহজ করার ফলে পর্যটন বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের জন্য ঘন ঘন ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষামূলক কর্মসূচি এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচি সম্প্রসারণের ফলে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভাগ করা ঐতিহ্যিক বন্ধন আরও গভীর হবে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলায় কৌশলগত আস্থা তৈরি করবে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের এই সুযোগটি কাজে লাগানো উচিত, পারস্পরিক সুবিধা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করা উচিত।

দৃশ্যমান এই সমস্ত উন্নয়ন অবশ্যই প্রশংসনীয়; তবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদকে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৭৮২ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যের সম্মিলিত সম্ভাবনার দিকে তাকালে এটি একটি নগণ্য পরিমাণ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য এবং শুল্ক নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা প্রয়োজন। শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য আন্তঃনির্ভরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সাফটার মতো বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য উভয় দেশের সংলাপ করা প্রয়োজন। এটি ঢাকা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।


বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের আলোচনার খবর প্রকাশ করেছে। বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল সংযোগকারী বিমানের মাধ্যমে হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। সরাসরি বিমান চলাচল সময় এবং অর্থ উভয়ই কমিয়ে দেবে। তাছাড়া, উভয় দেশের ভিসা নিয়ম পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভিসা নিয়ম সহজ করলে ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ জোরদার হবে।

শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও জোরদার করা যেতে পারে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সঠিক সংখ্যা চ্যালেঞ্জিং কারণ কোন দেশই বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস বজায় রাখেনি। তবে, সম্মিলিত জনসংখ্যা বিবেচনা করে সংখ্যাটি সীমিত বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা সার্ক কোটা এবং সরকারি বৃত্তি কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশে ভর্তি হয়। দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাগত এবং আদর্শিক আদান-প্রদান বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের এই সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত। দুই দেশের আন্তঃসংযুক্ত এবং শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০০ বৃত্তি ঘোষণা এই পথে একটি ভালো পদক্ষেপ।

বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ নামমাত্র। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ধর্ম এবং বিভাগ-পূর্ব ভারতের স্মৃতি ভাগাভাগি করে আছে। বাংলাদেশে বিখ্যাত পাকিস্তানি কাওয়াল রাহাত ফতেহ আলী খানের পরিবেশনা দেখায় যে সংস্কৃতি এবং সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আঞ্চলিক সীমাকে অতিক্রম করেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের অনুভূতি লালন করার জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে।

বানিজ্য

শুল্ক বৃদ্ধিতে ভারতের পরিবর্তে পাকিস্তান থেকে পশু খাদ্য আমদানি

বন্দর নির্মাণের পর প্রথমবারের মতো মোংলায় ভিড়েছে পশু খাদ্য (চিটাগুড়) বহনকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমভি ডলফিন-১৯ নামক পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন (চিটাগুড়) পশু খাদ্য নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:৩৭

বন্দর নির্মাণের পর প্রথমবারের মতো মোংলায় ভিড়েছে পশু খাদ্য (চিটাগুড়) বহনকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমভি ডলফিন-১৯ নামক পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন (চিটাগুড়) পশু খাদ্য নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর জেটিতে ওই বাণিজ্যিক জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারককে স্বাগত জানায় কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য-(হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার ও উপপরিচালক মাকরুজ্জামান মুন্সিসহ বন্দরেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রথম বাংলাদেশি আমদানিকারক মণ্ডল এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ মোংলা বন্দরের মাধ্যমে পশুখাদ্য (চিটাগুড়) আমদানি করেছে।

এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক জানান, তিনিসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দেশের চাহিদা মেটানো শেষে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি চিটাগুড় রফতানি করতেন।
কিন্তু সুগার মিল কমে যাওয়ায় এবং গুড় তৈরি না করার কারণে এখন তারা আমদানি করে দেশের পশুখাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছেন। তবে আগে তারা ভারত থেকে এই চিটাগুড় আমদানি করতেন।

রাজনৈতিক কারণে অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশি আমদানিকারকগণ এসব পণ্য আমদানি করতে পারতেন না। এ সুযোগে বাংলাদেশে এ পণ্য রফতানি উপর ভারত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে।

এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের ফলে তারা এখন পাকিস্তান থেকে পশুখাদ্য আমদানি শুরু করেছেন। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা এ পণ্য প্রথম মোংলা বন্দরে আনা হয়েছে। এখান থেকে পণ্য খালাস করে সড়ক পথে নেওয়া হবে রাজশাহী বিভাগে।


পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির ফলে দেশের বাজারে পশুখাদ্যের দাম কমবে বলে তিনি জানান।
এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) সফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, বন্দর নির্মাণের পর এই প্রথম মোংলায় আসলো পশুখাদ্যবহনকারী বাণিজ্যিক জাহাজ।

যে সকল পণ্য আগে কখনো এ বন্দরে আসেনি নতুন করে এসব পণ্য আমদানির ফলে মোংলা বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। তাই আগামীতে যেন জেটি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে রেলস্টেশনে নেওয়া সম্ভব হয় এ জন্য পাইপলাইন বসানো হবে। এরপর ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজে কম খরচে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেল ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৭ মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়ে ৪৯৬টি। ৬৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৩শত মেট্রিকটন পণ্য রফতানি করা হয়। ১২ হাজার ৮৩ টিউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি জাহাজ থেকে ৬৭৫১টি গাড়ী খালাস করা হয়।

২০২৫ সালের শুরুতে জাহাজ আসার পরিমান বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এ বন্দরে জাহাজ ভিড়ে ৭৬টি। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে জাহাজ ভিড়ে ৮৩টি।

বানিজ্য

মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা ২০২৫ এর পর্দা নামছে আজ

শেষ হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ মেলার পর্দা নামবে। বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিকেল ৪টায় মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করলেও এদিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। শেষ মুহূর্তে মেলা জমে ওঠায় বিক্রেতারা সময় একদিন বাড়ানোর […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:২৭

শেষ হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ মেলার পর্দা নামবে।

বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিকেল ৪টায় মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করলেও এদিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

শেষ মুহূর্তে মেলা জমে ওঠায় বিক্রেতারা সময় একদিন বাড়ানোর দাবি জানালেও এবার আর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। বাকি ১১টি স্টল ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া—এই ৭ দেশের।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো।
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।