শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ধীরে ধীরে দুই দেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। প্রথমে ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার দোহাই দিয়ে ভিসা সীমিত করে দেয়। এরপর ভিসা নীতিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তা পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ধীরে ধীরে দুই দেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

প্রথমে ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার দোহাই দিয়ে ভিসা সীমিত করে দেয়। এরপর ভিসা নীতিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তা পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, তাহলে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য কোন দিকে যাচ্ছে।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক গত ৫৩ বছরের। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এবার নতুন করে আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। দুই দেশই নিচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ফলে এসব পদক্ষেপ নিয়ে আবার দুই দেশই বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি দিচ্ছে।

সবশেষ নভেম্বরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।

এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা সীমিত করে বাংলাদেশ। গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে দুই দেশের সম্পর্কের এমন টানাপোড়েন দেখছে বিশ্ব।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশ সবচেয়ে বড় সীমান্ত প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশই আমদানি-রপ্তানি করে থাকে। এখানে সহজে ও স্বল্প সময়ে বাণিজ্য সম্পাদন হয়। ফলে দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই তা ইতিবাচক।

কিন্তু সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যেই যে সম্পর্কের টানাপোড়েন লক্ষ করা যাচ্ছে, এতে দুই দেশই সমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ ভারত থেকে বড় পরিমাণে আমদানি করে থাকে। তাই এখানে ভারতেরও স্বার্থ রয়েছে। এ ছাড়া প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা নিতে যান বেশ বড়সংখ্যক মানুষ।

এটা ভারতের ট্যুরিজম খাতেও ইতিবাচক প্রভাব রাখে। এখন যেহেতু্ এই মানুষগুলো যেতে পারছে না, তাহলে তা ভারতের অর্থনীতিতেও চাপ সৃষ্টি করবে।

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের কী অবস্থা : ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় তুলো ও সুতো। এসব আমদানিকৃত তুলো ও সুতো ব্যবহৃত হয় তৈরি পোশাক শিল্পে। বাংলাদেশের চাহিদার বেশিরভাগ তুলো ও সুতো আমদানি করা হয় ভারত থেকে। বাংলাদেশ যত তুলো ও সুতো আমদানি করে এর ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই করে ভারত থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যত সু্তো আমদানি করেছে তার মধ্যে ভারত থেকেই ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর চলতি বছরের জুলাইয়ে চাহিদার ৮৭ শতাংশ সুতো ভারত থেকে আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মরিচ, ফসলের বীজসহ কৃষিপণ্য আমদানি করা হয় ভারত থেকে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে আমদানি হয়েছে সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টন পণ্য। এসব পণ্যের মূল্য ছিল ২৯ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে মাসে গড়ে আসছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার পণ্য।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি বেড়েছে জুলাইয়ে। বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের জুলাইয়ে রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পণ্য, যেখানে আগের বছরের জুলাইয়ে রপ্তানি করা হয়েছিল ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে চলতি বছরের জুলাইয়ে ভারতে রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট  বলেন, হঠাৎ করে আলু আমদানি বন্ধের কারণে এলসিকৃত আলু আমদানি না হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। আমরা আলু আমদানির জন্য প্রচুর পরিমাণ এলসি করে রেখেছি। আলু আমদানি না হলে এলসি করা টাকা, বুকিংকৃত টাকা নিয়ে আমরা টেনশনে আছি।

এ সংকট কেটে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প, আমদানি শিল্প এবং ভোক্তা কল্যাণের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য এসবের অনেকগুলোই ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং সেটা আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার মনে হয়।

তিনি বলেন, সমস্যা আমাদের দিক থেকে না। আমরা ভারতের বিপক্ষে যাইনি। ভারত আমাদের পরিবর্তনটা গ্রহণ করতে পারছে না বলেই সমস্যটা তৈরি হয়েছে। আশা করি, ভারত আমাদের পরিবর্তনটা মেনে নেবে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।

 

বানিজ্য

১ শতাংশ চালও ভারত থেকে আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ আড়াই বছর […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৩২

ভারত থেকে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করতে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ চাল আমদানির শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ ২৫ দিনে সরকারি অনুমোদনের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির অনুমতি পেলেও ভারতে দামের ঊর্ধ্বগতি আর স্বল্প সময়ের কারণে এবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ছিল কম। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল আসেনি দেশে।

ভারত থেকে চাল আমদানির শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ২৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দরে মাত্র তিন হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

এর আগে সরকার দেশের ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে তিন লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল চাল আমদানি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ আটটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করেছে।

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে সবশেষ তিনটি ট্রাকে করে ১০৫ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে ৯৭ ট্রাকে ৩ হাজার ৩২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।

সরকার চালের শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থাৎ গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে তিন হাজার ৩২০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

এছাড়া অনান্য বন্দর দিয়েও কম-বেশি আমদানি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

যে সময় চাল আমদানির অনুমতি মিলেছে তখন দেশীয় বাজারে সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া ভারতের বাজারেও চালের দাম চড়া থাকায় লাভ নিয়ে শঙ্কা বাড়ায় অনেকেই আর আমদানি করেনি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সরকার মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয়ায় অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি।

বানিজ্য

পাকিস্তানে রপ্তানি হবে বাংলাদেশের ওষুধ

বাংলাদেশের ওষুধ এবার রপ্তানি হতে পারে পাকিস্তানে। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী। স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। প্রায় এক […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫

বাংলাদেশের ওষুধ এবার রপ্তানি হতে পারে পাকিস্তানে। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।

স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় তারা স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ আমদানি এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে মতবিনিময় করেন।

হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, “বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী।” তার মতে, দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানো সম্ভব।

এই আলোচনায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ মারুফ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশীদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

বানিজ্য

সুইজারল্যান্ড থেকে আসবে ১৩২৬ কোটি টাকার এলএনজি

দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮০ টাকা। সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০২

দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮০ টাকা।

সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮  অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (৫-৬ জানুয়ারি ২০২৫ সময়ে) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।