বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

বাজারে সয়াবিন তেলের দারুন সংকট,বিপাকে ক্রেতা ও বিক্রেতা

আশু রমজান সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশের খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অভিযোগ ‍উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিন্ডিকেট বাজার থেকে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিতে মিল পর্যায় থেকে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিলারের কাছে সরবরাহ কমিয়েছে। এতে ডিলার থেকে খুচরা বাজারে সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামেও চাহিদামতো তেল পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার (৬ […]

নিউজ ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪

আশু রমজান সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশের খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অভিযোগ ‍উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিন্ডিকেট বাজার থেকে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিতে মিল পর্যায় থেকে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিলারের কাছে সরবরাহ কমিয়েছে।

এতে ডিলার থেকে খুচরা বাজারে সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামেও চাহিদামতো তেল পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক বাজারের মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়, সয়াবিন তেলের এই সংকটে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। বেশিরভাগ দোকানে বোতলজাত ভোজ্যতেল নেই। এক-দুই বা তিন লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও পাঁচ লিটারের তেল খুবই সীমিত।

অনেক দোকানি শুধু নিয়মিত ও পরিচিত ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করছেন। সংকট দেখিয়ে ভোক্তার কাছে অতিরিক্ত দাম নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে খোলা বা লুজ তেল বিক্রি করছেন অনেক দোকানি। তবে অনেক দোকানে সূর্যমুখী ও রাইস ব্র্যান তেল পাওয়া যাচ্ছে। সয়াবিনের সংকটে এসব তেলের চাহিদা বেড়েছে।

বাজারে খুচরা বিক্রেতারা জানান, সংকট দেখিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল লিটারপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খোলা পাম অয়েল ১৬০-১৬২ এবং সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দু-একটি দোকানে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিললেও বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকায়। এছাড়া দু-এক জায়গায় এই একই তেল ১৭৫-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে তেল কিনতে এসেছেন সোহাগ কাজী। তিনি জানান, বাজার ঘুরে বোতল তেল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে। একই বাজারে তেল কিনতে আসা আনিকা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল না পাওয়ায় রাইস ব্র্যান তেল নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

 

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন তেল কোম্পানির ডিলাররা জানান, কোম্পানি থেকে আমাদের তেল সরবরাহ করছে না। যেখানে একজন ডিলারের চাহিদা ১০০ কার্টন, সেখানে কোম্পানি ১০-২০ কার্টন তেল দিচ্ছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমাতে হচ্ছে।

যদিও বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে তেল সরবরাহ কমেছে বলে দাবি তেল আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। তারা বলছেন, বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১০-১৩ টাকা বেড়েছে। এ জন্য চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো। তাই রিফাইনিং করে তেল বাজারে সরবরাহ কম করে দিতে হচ্ছে।

তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে যেসব ভোগ্যপণ্য আমদানি করা হয়, এর প্রায় সবকটির দামই আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম ১০০ থেকে ৭৮ ডলারে নেমে এসেছে। এতে জাহাজ ভাড়াসহ অন্য পরিবহণ খরচ কমেছে।

দেশে ডলারের দামও কমেছে। আগে আমদানিতে প্রতি ডলার কিনতে হতো সর্বোচ্চ ১৩২ টাকা করে। এখন তা কমে ১২০ টাকায় নেমে এসেছে। এসব কারণে আমদানি খরচ কমেছে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই আমদানি পণ্যের দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে দাম কমেনি। উলটো আরও বেড়ে যাচ্ছে।

আর এনবিআরের তথ্যমতে, চলতি মাসের ২৩ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যাংক টার্মিনাল থেকে মোট ৬৫ হাজার টন সয়াবিন ও পাম তেল খালাস করেছেন ব্যবসায়ীরা। আরও ৪৫ হাজার টন তেল নিয়ে চারটি জাহাজ এসেছে।

কিন্তু ক্রেতা সাধারনের একটাই চিন্তা রমজানের আগে এই সমস্যা কি কমবে না আরও বাড়বে  ?

বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) […]

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৯ আগস্ট ২০২৫, ২২:০৫

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুদীর্ঘ বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাকের অন্যতম বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য সম্ভাবনা এবং সাপ্লাই চেইনের সুবিধাকে কাজে লাগাতে- দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের এখনই উত্তম সময়। পাশাপাশি, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক হ্রাস করায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর (বাণিজ্য বিভাগ) পল জি. ফ্রস্ট। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন পল জি. ফ্রস্ট।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংসের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রি. জে. (অব) আবু নাঈম মো. শহীদউল্লাহ, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট আবির বড়ুয়া প্রমুখ।

বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়ল ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ জাহাজ

ক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।

নিউজ ডেস্ক

২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০

ক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।

এই প্রকল্পের প্রথম চালান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে রয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গম।

সূত্র জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপরও ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছিল। সেই শুল্কের প্রভাব কমাতে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার শুল্ক প্রত্যাহার ও আমদানি বৃদ্ধির পথে অগ্রসর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

ঢাকায় ওই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি হয়েছে। আগে ভারত, রাশিয়া, বেলারুসসহ অন্যান্য দেশ থেকেও গম আমদানি করা হতো। দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্ক হার কমিয়ে ২০ শতাংশে নামানো হয়।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গম আমদানি কার্যক্রম এখন চলমান। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এই চালানের ৫৬ হাজার ৯৫৯ টনের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।