কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত পুত্র’ হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান হিরুর বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদক জানায়, হিরুর বিরুদ্ধে চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা, শুল্ক ফাঁকি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে—এসব অপরাধের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন এবং বিদেশে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করার পরই দুদক অনুসন্ধানে নামার সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান হিরু ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (এনডিই) পরিচালক পদে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি গুলশান–১ ডিএনসিসি মার্কেটের সভাপতি। এছাড়া প্যারাগন, লন্ডন টাচ, প্যারিস গ্রুপ এবং ওয়েস্ট ফিল্ড নামের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও তার মালিকানায় রয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে এসব প্রতিষ্ঠানের আড়ালে তিনি বিপুল সম্পদ অর্জন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
হিরু ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ট্যাক্স জালিয়াতি ও অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগ যাচাই করতে দুদক দুই সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে। দলের নেতৃত্বে আছেন সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন উপসহকারী পরিচালক আবু তালহা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ আসাদুজ্জামান হিরুকে গ্রেপ্তার করে। জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, হিরু নিজেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত পুত্র’ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটাতেন।