বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

ছেলেটা কি সকাল সকাল গঞ্জিকা মেরে দিলো ? : জুলকারনাইন সায়ের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একটি ফেসবুক পোস্টে ছাত্রশক্তি গঠন প্রক্রিয়া, শিবিরের ভূমিকা, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় সরকার প্রস্তাব এবং একটি ব্যর্থ সামরিক ক্যু চেষ্টার বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি শিবির নেতা সাদিক কায়েম বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন। জাতীয় সরকার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রত্যাখ্যাননাহিদ বলেন, সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা […]

ছেলেটা কি সকাল সকাল গঞ্জিকা মেরে দিলো ? : জুলকারনাইন সায়ের

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২৫, ১৪:৩৬

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একটি ফেসবুক পোস্টে ছাত্রশক্তি গঠন প্রক্রিয়া, শিবিরের ভূমিকা, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় সরকার প্রস্তাব এবং একটি ব্যর্থ সামরিক ক্যু চেষ্টার বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি শিবির নেতা সাদিক কায়েম বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন।

জাতীয় সরকার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান
নাহিদ বলেন, সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন—ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কোনো জাতীয় সরকার প্রস্তাব যায়নি। এই বক্তব্যকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে নাহিদ জানান, ৫ আগস্ট রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এর পরপরই তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ছাত্ররা জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের সুপারিশ তুলে ধরে, যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তারেক রহমান সে প্রস্তাবে রাজি হননি এবং বিকল্প হিসেবে নাগরিক সমাজ দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরামর্শ দেন।

শিবির প্রসঙ্গে সাদিক কায়েমের দাবিকে ‘মিথ্যাচার’ বললেন নাহিদ
সম্প্রতি এক টকশোতে সাদিক কায়েম দাবি করেন, ছাত্রশক্তি গঠনে শিবিরের ভূমিকা ছিল এবং তাদের নির্দেশেই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে। এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা আখ্যা দিয়ে নাহিদ বলেন, ছাত্রশক্তি গঠিত হয়েছিল ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র, ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগকারী একটি অংশ ও জাবির একটি স্টাডি সার্কেলের যৌথ উদ্যোগে। শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, কিন্তু তারা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল না।

তিনি আরও বলেন, “সাদিক কায়েম কখনোই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কেবল শিবিরের অংশগ্রহণের কারণে, নেতৃত্বের কারণে নয়।”

২ আগস্ট রাতে ব্যর্থ সামরিক ক্যু পরিকল্পনার অভিযোগ
সবচেয়ে বিস্ফোরক অংশে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ২ আগস্ট রাতে জুলকারনাইন সায়ের ও তার ঘনিষ্ঠরা সামরিক বাহিনীর একটি অংশকে ব্যবহার করে ক্ষমতা গ্রহণের পরিকল্পনা করেছিল। এ জন্য ‘সেইফ হাউজে’ থাকা ছাত্রনেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় যেন তারা ওই রাতেই একদফা ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে সরকারের পতন দাবি করে এবং মূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

নাহিদ বলেন, “আমাদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট—সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না। তাহলে আরেকটা এক-এগারো হবে, এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে সামনে এগোতে চেয়েছি।”

তিনি দাবি করেন, ৫ আগস্টের পরও সায়ের গং একাধিকবার ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে বিকল্প নেতৃত্ব দাঁড় করাতে চেয়েছে, যার অন্যতম হাতিয়ার ছিল সাদিক কায়েম। তাদের মাধ্যমে চরিত্রহনন, কল রেকর্ড ফাঁস, নজরদারি, অপপ্রচার—সবকিছুই চলছে।

নাহিদের ভাষায়, “মিথ্যার ওপর কেউ বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। এরাও পারবে না।”

সোশ্যাল মিডিয়া

ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল,‘ এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে,

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র–জনতার ওপর লাঠিচার্জের আগমুহূর্তে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়—তিনি বলছেন, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।” সোমবার (১৭ নভেম্বর) […]

ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল,‘ এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে,

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র–জনতার ওপর লাঠিচার্জের আগমুহূর্তে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়—তিনি বলছেন, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।”

সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে যেতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় সেনা ও পুলিশ। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই ঘটনাস্থলেই ডিসি মাসুদের ফোনালাপটি ধারণ করা হয় এবং মুহূর্তেই এটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছে—“কোনো আন্দোলন দমনের জন্য ‘শিবির ট্যাগ’ এখনো কার্যকর। গতকাল ফ্যাসিস্ট আমলের পাবনার ডিসি, বর্তমান রমনা ডিসি মাসুদ আন্দোলনকারীদের শিবির বলে আখ্যায়িত করে দমন অভিযানের অনুমোদন নিয়েছেন।” ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নেটিজেনদের বড় একটি অংশ তার সমালোচনায় সরব।

ডিসি মাসুদকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো কল রিসিভ করেননি।

এর আগে মাসুদ আলমকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তার হাতে এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি প্রকাশ পেয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। আবার ২০২৪ সালের কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতি না দিয়ে উল্টো তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি প্রশংসাও পেয়েছিলেন। ভাইরাল এক ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়—“যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, আগে আমাকে মারতে হবে।”

এর বাইরে রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় মাঠে দ্রুত উপস্থিত হওয়া এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার কারণে তিনি বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছেন। আবার কখনো মন্তব্য ঘিরে বিতর্কেও জড়িয়েছেন—যেমন সায়েন্সল্যাব মোড়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় তার মন্তব্য, “এই সংঘর্ষের কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।”

মাসুদ আলম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। র‍্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন শেষে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ডিএমপিতে বদলি হয়ে রমনা বিভাগের ডিসি হিসেবে যোগ দেন। ভাইরাল সাম্প্রতিক ভিডিওটি তার সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—আন্দোলনকারীদের শনাক্ত না করেই ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে দমন অভিযান চালানো কি পেশাদার পুলিশের আচরণ? এই প্রশ্নই এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার প্রধান বিষয়।

সোশ্যাল মিডিয়া

বাংলাদেশে ঢুকছে ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট : জুলকারনাইন

বাংলাদেশে দুই লাখ কোটি টাকা জাল নোট প্রবেশের অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মদদে বিভিন্ন রুটে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা সমপরিমাণ জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে, এসব টাকার কাগজ […]

বাংলাদেশে ঢুকছে ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট : জুলকারনাইন

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৪

বাংলাদেশে দুই লাখ কোটি টাকা জাল নোট প্রবেশের অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মদদে বিভিন্ন রুটে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা সমপরিমাণ জাল নোট প্রবেশ করানো হচ্ছে,

এসব টাকার কাগজ আর বাংলাদেশের নোটে ব‍্যবহৃত কাগজ একই হওয়ার কারণে খালি চোখে এমনকি ব‍্যাংকের যাচাই মেশিনেও এসব নোট জাল হিসেবে চিহ্নিত করা দুরূহ। নিরাপত্তা সুতাসহ হলোগ্রাম প্রিন্ট সবই অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় দেশটির নিজস্ব মুদ্রা ছাপানোর ফ‍্যাসিলিটিতে এসকল নোট প্রিন্ট করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা গেছে।

পোস্টে তিনি লেখেন—বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত একপ্রকারের ধ্বংস করতে এবং বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্যে এসব নকল নোট অত্যন্ত কম মূল্যে দেশের জালনোট কারবারিদের কাছে বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছে দিচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডস, বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা এ বিষয়ে অবগত, এবং নিজ সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়েই তারা এই অপতৎপরতা প্রতিরোধের চেষ্টা করে চলেছেন, পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ‍্যেও এ বিষয়ে কার্যকরি সচেতনতা তৈরি গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়া

হাসনাতকে মাথায় নয়, ঘাড়ে গুলি করার পরামর্শ : ভারতীয় সাবেক কর্ণেল

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহকে পরবর্তী টার্গেট হিসেবে উল্লেখ করে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিসংক্রান্ত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়নার বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া একটি পোস্টকে ঘিরে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়না দাবি […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৩৯

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহকে পরবর্তী টার্গেট হিসেবে উল্লেখ করে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিসংক্রান্ত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়নার বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া একটি পোস্টকে ঘিরে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়না দাবি করেন, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির পরবর্তী টার্গেট হতে পারেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোস্টে তিনি কোথায় গুলি করা উচিত—সে সম্পর্কেও মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই বক্তব্যে বলা হয়, “মাথায় নয়, ঘাড়ে গুলি করতে হবে। প্রথমে তাকে নিশ্চুপ করতে হবে।” এমন মন্তব্যকে অনেকেই সরাসরি মৃত্যুহুমকি হিসেবে দেখছেন।

পোস্টটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশের একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মিডিয়া হ্যান্ডলার দাবি করেন, এটি কোনো সাধারণ মতামত নয়; বরং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি। কেউ কেউ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গেও এই বক্তব্যের সম্ভাব্য যোগসূত্র থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে—একজন সাবেক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকের এমন বক্তব্যের দায় ভারতীয় কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল এড়াতে পারে কি না। বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্ক ও নিরাপত্তা সংবেদনশীলতার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

এ বিষয়ে কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়নার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অন্য একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বিষয়টিকে তুচ্ছ আখ্যা দিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট নিয়ে অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ‘বাড়াবাড়ি না করার’ পরামর্শ দেন, নতুবা উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন।