ডিসেম্বরে নির্বাচন বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
তুষার বলেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন ব্যাপারে কোনো আপত্তি করি নি। কিন্তু আপাত্তি টা হলো নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এটি একটি অমূলক অভিযোগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো অভিমুখ নেই। কিন্তু, নির্বাচনে যে সরকার আসবে তারা যে আবার তাদের ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চাইবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই যদি এই সিস্টেমটা একই রকম থাকে। সেখানেই সংবিধান ও সংস্কারের বিষয়টি আসছে।
তিনি আরো বলেন, অন্য সংস্কারগুলোর বিষয়ে বিএনপি একমত, কিন্তু মূল যে সংস্কার অর্থাৎ সংবিধান সংস্কারের পক্ষে বিএনপি ইতিবাচক নয়। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়ে তারপর নির্বাচন হতে হবে।
নতুন বাস্তবতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই নির্বাচনই তো আমাদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাছাড়া এই নির্বাচনে আগে থেকে বলা যায় না যে কে কেমন ভোট পাবে। কারণ এই হিসাব গুলো বদলে গেছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০০৮ সালে।
এর মাঝে অনেক ছেলেমেয়েরা ভোটার হিসেবে যুক্ত হয়েছে যাদের বিবেচনা অন্যরকম। আবার স্থানীয় বাস্তবতা যেমন: লুটপাট, চাঁদাবাজি এসবের ওপরেও জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। তারা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও নির্বাচন চাই, কারণ আমরা মনে করি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ একটা রায় দিবে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?