গত বছর ১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পলাতক আওয়ামী লীগ। কিন্তু ছাত্রজনতার কড়া অবস্থানে ধোপে টেকেনি তাদের সেই ফাঁকা আওয়াজ। এরপর থেকে দীর্ঘিদিন তেমন প্রকাশ্যে আসতে পারেনি তারা।
তবে কখনও রাতের আঁধারে জয় বাংলা লেখা, আবার কখনও ভোর রাতে ঝটিকা মিছিল করেছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু নতুন করে নিজেদের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করছে গণহত্যার দায়ে অভি যুক্ত আওয়ামী লীগ।
ভারতে বসে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আবারও দলের নেতাকর্মীদের মাথে নামার জন্য ইন্ধন দিচ্ছেন। দিচ্ছেন একের পর এক অডিও বার্তা। ভারতে পলাতক শেখ হাসিনার সেই বার্তা শুনে কেনেই রাজপথে নেমে আসছেন।
গেল ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের দিন ভোরে রাজধানীর গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেদিন বেশ কয়েকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার আবারও ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রজনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানো আওয়ামী লীগ। রবিবার সকাল ৭.১০ মিনিটের দিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট থেকে এই ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীগ কার্যালয়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিছিলটিতে রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয় মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদের নেতৃত্বে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ঈদের আগেই ইফতার পার্টির নামে আওয়ামী লীগের পলাতক এমপি, মন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। সেখানে বসে নতুন করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভারত, লন্ডন, আরব আমিরাতসহ অন্তত পাঁচ দেশে গোপন বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?