পবিত্র ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে গত ৩০ মার্চ স্বপরিবারে সৌদি আরবে গেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ। আগামী ১০ এপ্রিল তার বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আজ রোববার (৬ এপ্রিল) পবিত্র ওমরা পালনকালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। পরে ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অঝোরে চোখের পানি ফেলে দোয়া করেন তিনি।
এ সময় তিনি কান্নারত অবস্থায় বলেন- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। প্রিয় ফিলিস্তিন, প্রিয় গাজা। আমার ভাই ও বোনেরা, কাবার মালিকের কাছ থেকে দোয়া করছি- আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালার
কাছে, কাবার মালিক যেমন হস্তিওয়ালাদের দমন করেছিলেন এবং মুসলমানদের হেফাজত করেছিলেন, আল্লাহ তায়ালা যেন আমার ফিলিস্তিনিদের হেফাজত করেন। আমার গাজাকে হেফাজত করেন।
অঝোরে কান্নারত অবস্থায় তিনি আরো বলেন, হে আল্লাহ আমার ভাইবোনদের হেফাজত করো। প্রিয় ফিলিস্তিন আমরা এই কাবার চত্বরে আছি। আমাদের শরীরটা এখানে পরে আছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়টা তোমাদের সাথে আছে।
আমরা আসবো। আমরা তোমাদের সাথে গাজি হবো। আমরা তোমাদের সাথে শহিদের কাতারে মিলিত হবে। তোমাদের কেউ হারাতে পারবে না। তোমরা হারলে হেরে যাবে পৃথীবি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, প্রিয় ফিলিস্তিন- তোমাদের বিজয় দিয়েই শুরু হবে মুসলিম বিশ্বের উম্মাহর বিজয় নিশান। ইনশাল্লাহ। ইনশাল্লাহ। ইনশাল্লাহ। ফিলিস্তিনির জন্য পুরো মুসলিম উম্মাহ একত্রিত হওয়া খুব জরুরি হয়ে পরেছে।
কাল কেয়ামতের দিন আমরা আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব। আল্লাহ প্রিয় ফিলিস্তিনকে দয়া করো। আল্লাহ প্রিয় ফিলিস্তিনকে সাহায্য করো।
এ সময় কান্নারত অবস্থায় তিনি আরো বলেন- পবিত্র এই কাবাঘরে দাড়িয়ে আমার নিজের পরিবারের কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কাবার মালিকের কাছে বলতে ইচ্ছে করে- মালিক! তুমি হস্তিওয়ালাদের দমন করেছো। সামুদ জাতিকে ধ্বংস করেছেন।
আল্লাহ, আপনি ইসরাইলকে তাদের মতো ধ্বংস করে দেন। আল্লাহ নেতানিয়াহুর মতো নরপিচাশকে আপনি ধ্বংস করে দেন। আমীন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?