চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বন্দিশালায় বোমা রাখা হয়েছিল। সেই বোমাগুলোর সঙ্গে টাইমার সেট করা ছিল। এ থেকে বোঝা যায়, এই ইনভেস্টিগেশন যারা করতে গিয়েছে, তাদেরও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘আয়নাঘর’ নামে কুখ্যাতি পাওয়া গোপন বন্দিশালা নিয়ে যারা তদন্ত করছেন, তাদের হত্যার জন্য সেই বন্দিশালায় আগে থেকেই বোমা রাখা হয়েছিল।
আজ রোববার (৬ এপ্রিল) কয়েকটি মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বন্দিশালায় বোমা রাখা হয়েছিল। সেই বোমাগুলোর সঙ্গে টাইমার সেট করা ছিল। এ থেকে বোঝা যায়, এই ইনভেস্টিগেশন যারা করতে গিয়েছেন, তাদেরও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো স্ক্যান্ডাল বিচারকাজ থামাতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কোনো দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘এতসব জটিলতার মধ্যে দিয়ে যে কাজগুলো এগিয়েছে, সেগুলো প্রতিদিন জনসম্মুখে আসেনি। সে কারণে অনেকেই মনে করতে পারেন তদন্ত কাজ কিছু হয়নি। যেদিন ফরমাল চার্জ দাখিল করা হবে, সেদিন থেকে সবাই উপলব্ধি করতে পারবেন।’
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া তিন মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়ে এর প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। প্রতিবেদন তিনটি যাচাই-বাছাই চলছে। আশা করছি অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই দাখিল করতে পারব।
তিনি বলেন, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা ও চানখারপুল গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার জন্য শিগগির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা মনে করি একটি ট্রাইব্যুনাল যথেষ্ট নয়। আরও ট্রাইব্যুনাল হওয়া উচিত। সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করেছে। খুব সহসাই অন্তত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে আসামিদের পক্ষ থেকে বিচার বানচালের চেষ্টা সফল হবে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?