আশরাফুজ্জামান মিনহাজ (যিনি মিনহাজ উদ্দিন নামে পরিচিত) সম্প্রতি নিজেকে একজন আন্তর্জাতিক লবিস্ট হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে তার একাধিক ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে তাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে।
ফাঁস হওয়া অডিওতে মিনহাজ দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফোন করে কেঁদেছেন এবং ৩০ মিনিট কথা বলেছেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মিনহাজ দাবি করেছেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজ (সাবেক সেনাপ্রধান) তার সাথে কানাডা ও আমেরিকায় দেখা করতেন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সাথে তার যোগাযোগ ছিল।
মিনহাজ একদিকে শেখ হাসিনার সরকারের সাথে তার যোগাযোগের কথা বললেও, অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথেও ঘনিষ্ঠতা দাবি করেছেন।
মিনহাজের দাবি, তিনি তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন এবং বিএনপির নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। তবে বিএনপি এই দাবি খারিজ করে বলেছে, “মিনহাজ একজন প্রতারক, তার সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।”
অভিযোগ রয়েছে, মিনহাজ ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং জামাতের আমিরের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন।
মিনহাজ বিভিন্ন সময় নিজেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে ,তিনি কখনও হার্ভার্ড, কখনও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বলে দাবি করেছেন।
আবার কোথাও নিজেকে কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক বলে পরিচয় দিয়েছেন। মিনহাজ সুইস ব্যাংকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার গচ্ছিত থাকার মিথ্যা দাবি করেছেন, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব।
গত কয়েক মাস ধরে মিনহাজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিম তাকে শরীয়তপুরের নরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জিনিয়া জিন্নাতের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?